ভারত (প্রথম ইনিংস): ১৯১/১০ (শার্দূল ৫৭, বিরাট ৫০, ক্রিস ওকস ৪/৫৫, রবিনসন ৩/৩৮)
ইংল্যান্ড (প্রথম ইনিংস): ২৯০/১০ (পোপ-৮১, ওকস-৫০, উমেশ ৩/৭৬)
ভারত (দ্বিতীয় ইনিংস): ৪৩/০ (রোহিত-২০*, রাহুল-২২*)
দ্বিতীয় দিনের শেষে ভারত পিছিয়ে ৫৬ রানে
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উমেশ যাদবকে কেন এতদিন বাইরে বসে থাকতে হল? তৃতীয় টেস্টে মুখ থুবড়ে পড়ার পরও ওভাল টেস্টে কেন আর অশ্বিনকে প্রথম একাদশে রাখা হল না? চতুর্থ টেস্টের প্রথম দিন থেকেই বিরাট কোহলির দিকে ছুটে আসছে এমন নানা প্রশ্ন। তবে মুখে জবাব না দিয়ে ২২ গজেই সব প্রশ্নের উত্তর দিতে চাইছেন তিনি। আর সেই লক্ষ্যে ম্যাচের দ্বিতীয় দিন খানিকটা ইতিবাচকভাবে এগলো টিম ইন্ডিয়া (Team India)।
[আরও পড়ুন: সৌম্যদীপ ম্যাচ হারতে বলেছিলেন! বাঙালি কোচের বিরুদ্ধে গড়াপেটার অভিযোগ মণিকা বাত্রার]
দীর্ঘ প্রায় তিন বছর পর দলে প্রত্যাবর্তন করেই ২২ গজে আগুন ঝড়ালেন উমেশ (Umesh Yadav)। ইংল্যান্ড দলের সবচেয়ে দামি উইকেট জো রুটকে মাত্র ২১ রানেই প্যাভিলিয়ানের রাস্তা দেখিয়ে দেন তিনি। তাতেই প্রথম দিন নড়বড়ে হয়ে পড়ে ইংলিশ টপ অর্ডার। তবে দ্বিতীয় দিন দলের হাল ধরেন মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানরা। পোপ, বেয়ারস্টো, মঈন আলি, ক্রিস ওকসরা বেশ খানিকটা এগিয়ে দেন ইংল্যান্ড। তবে ভারতীয় পেস ঝড় তাড়া করে বেরিয়েছে সর্বক্ষণ। একটা সময় যেভাবে উইকেট পড়ছিল, তাতে মনে হচ্ছিল ২০০ রানের গণ্ডি পেরোতে পারবে ইংল্যান্ড। তবে চাপের মুখে ভরসার মুখ হয়ে ওঠেন পোপ-মঈন আলি।
তৃতীয় টেস্টে ৭৮ রানে অলআউট হয়ে অসহায় দেখিয়েছিল ভারতকে। এবার অবশ্য স্কোরবোর্ডে বিরাট রান না থাকলেও এদিন বডি ল্যাঙ্গুয়েজে অন্তত একটা খিদে দেখা যাচ্ছিল কোহলিদের। আর তাতে ভর করেই ২৯০ রানে রুটবাহিনীকে গুটিয়ে দিয়ে সফল হলেন বুমরাহরা। উমেশের তিন উইকেটের পাশাপাশি বুমরাহ ও জাদেজা দুটি করে উইকেট তুলে নেন।
[আরও পড়ুন: Tokyo Paralympics 2020: তিরন্দাজিতে ইতিহাস গড়ে দেশকে পদক এনে দিলেন হরবিন্দর]
দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুটাও মন্দ হল না। দিনের শেষে ১০ উইকেট হাতে রেখেই মাঠ ছাড়লেন রোহিত শর্মা (২০*) ও কেএল রাহুল (২২*)। সেই সঙ্গে ব্যাট হাতে অনন্য মাইলস্টোনও ছুঁয়ে ফেললেন রোহিত। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১৫ হাজারের বেশি রানের মালিক হয়ে গেলেন তিনি। এখন টিম ইন্ডিয়ার সামনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ আজকের এই ফর্ম ধরে রাখা।