ভারত: ২৩৪-৭ ডিক্লেয়ার (শ্রেয়স ৬৫, ঋদ্ধিমান ৬১) এবং ৩৪৫/১০
নিউজিল্যান্ড: ৪-১ (লেথাম ১*, সামারভিল ০*) এবং ২৯৬-১০
ভারত ২৮০ রানে এগিয়ে।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চাপের মুখ থেকে ফের দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন। কানপুর টেস্টের চতুর্থ দিনের শেষে চালকের আসনে ভারত। সৌজন্য শ্রেয়স আইয়ার, ঋদ্ধিমান সাহা এবং অক্ষর প্যাটেলের দুর্দান্ত ব্যাটিং। চতুর্থ দিনের শেষে দ্বিতীয় ইনিংসে নিউজিল্যান্ডের স্কোর ১ উইকেটে ৪ রান। ভারতের থেকে এখনও ২৮০ রানে পিছিয়ে কিউয়িরা।
কানপুর টেস্টের (Kanpur Test) তৃতীয় দিনের শেষে দ্বিতীয় ইনিংসে ভারতের স্কোর ছিল ১ উইকেটের বিনিময়ে ১৪ রান। সেখান থেকে চতুর্থ দিনে খেলতে নেমে এদিন শুরুতে বেশ চাপেই পড়ে যায় ভারত। টিম ইন্ডিয়ার টপ অর্ডার এদিন ফের ব্যর্থ হয়। একটা সময় মাত্র ৫১ রানে পাঁচ উইকেট খুইয়ে বসে রাহানে বাহিনী। পূজারা (২২), রাহানে (৪), জাদেজা (০) এদিন আরও একবার ব্যর্থ হন। একটা সময় মনে হচ্ছিল, দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং ব্যর্থতার জেরে চাপে পড়ে যাবে ভারত। তখনই ইনিংসের হাল ধরেন আগের ইনিংসে সেঞ্চুরি করা শ্রেয়স আইয়ার। তাঁর সঙ্গে জুটি বাঁধেন অশ্বিন এবং উইকেটরক্ষক ঋদ্ধিমান সাহা। ওই দু’জনের জুটিতে ভর করেই ঘুরে দাঁড়ায় ভারত।
[আরও পড়ুন: MS Dhoni: আগামী বছর চেন্নাইয়ের জার্সিতে গোটা IPL খেলবেন না ধোনি! বদলে যাবে ক্যাপ্টেনও?]
৬৫ রানের ঝকঝকে ইনিংস খেলে ভারতকে লড়াইয়ে ফেরান শ্রেয়স। প্রথম ভারতীয় ব্যাটার হিসাবে অভিষেক টেস্টের প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরি এবং দ্বিতীয় ইনিংসে অর্ধশতরান করে ইতিহাসের খাতায় নাম তুলে ফেলেছেন ২৬ বছর বয়সী শ্রেয়স। অশ্বিন করেন ৩২ রান। তবে, এদিন আলাদা করে বলতে হয় একজনের নাম। তিনি ঋদ্ধিমান সাহা। ঘাড়ের চোট নিয়েও এদিন ৬১ রানের লড়াকু ইনিংস খেলেন বঙ্গসন্তান। মূলত ঋদ্ধির লড়াকু অর্ধশতরানই ভারতকে এগিয়ে দেয়। ঋদ্ধিকে সঙ্গত করেন স্পিনার অক্ষর প্যাটেলও। দ্বিতীয় ইনিংসে ভারতের স্কোর ৭ উইকেটে ২৩৪ রান, তখনই অধিনায়ক রাহানে ইনিংসের সমাপ্তি ঘোষণা করে দেন। সেসময় ভারতের লিড ছিল ২৮৩ রান।
[আরও পড়ুন: Hardik Pandya: পুরোপুরি ফিট না হয়ে জাতীয় দলে ফিরতে চান না, নির্বাচকদের জানিয়ে দিলেন হার্দিক]
২৮৪ রানের টার্গেট নিয়ে খেলতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় কিউয়িরা। আগের ইনিংসে দুর্দান্ত ইনিংস খেলা উইল ইয়ং অশ্বিনের বলে এলবিডব্লুউ হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরেছেন। জয়ের জন্য শেষদিন নিউজিল্যান্ডের প্রয়োজন ২৮০ রান। আর ভারতের প্রয়োজন ৯ উইকেট। কানপুরের পিচের যা অবস্থা তাতে অঘটন না ঘটলে এই ম্যাচ পকেটে পুরে নেওয়া উচিত টিম ইন্ডিয়ার।