ভারত: ২৩৪-৭ ডিক্লেয়ার (শ্রেয়স ৬৫, ঋদ্ধিমান ৬১) এবং ৩৪৫/১০
নিউজিল্যান্ড: ২৯৬-১০ এবং ১৬৫-৯ (লেথাম ৫২, সামারভিল ৩৬)
ম্যাচ ড্র।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দাঁতে দাঁত চেপে লড়াই বোধ হয় একেই বলে। ভাঙা পিচ, বল ঘুরছে, চক্রব্যুহর মতো ঘিরে ধরেছেন ভারতীয় ফিল্ডাররা, বিপক্ষে রবিচন্দ্রন অশ্বিন (Ravichandran Ashwin), রবীন্দ্র জাদেজা (Ravinder Jadeja) অক্ষর প্যাটেলদের মতো স্পিনার। সেই ত্রয়ীর বিরুদ্ধে লড়াই করে ম্যাচ বাঁচিয়ে ফেলল নিউজিল্যান্ড। টানটান ম্যাচে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নদের বিরুদ্ধে ড্র দিয়েই লাল বলের ক্রিকেটে দ্রাবিড় যুগের সূচনা করল টিম ইন্ডিয়া (Team India)।
জয়ের জন্য কানপুর টেস্টের শেষদিন নিউজিল্যান্ডের (New Zealand) প্রয়োজন ছিল ২৮০ রান। আর ভারতের প্রয়োজন ছিল ৯ উইকেট। জয়ের জন্য নাকি ড্রয়ের জন্য, পঞ্চম দিন কিউয়িরা কী উদ্দেশ্যে খেলা শুরু করে সেটাই ছিল দেখার। দেখা গেল দ্বিতীয় উইকেটের জুটিতে বেশ ভালই এগোনো শুরু করে নিউজিল্যান্ড। একটা সময় মনে হচ্ছিল ম্যাচের ৩টি ফলাফলই সম্ভব। ম্যাচ দুলল পেন্ডুলামের মতো। ড্র হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি বলে যখন মনে হচ্ছিল, ঠিক তখনই কিউয়ি দুর্গে আঘাত হানেন উমেশ যাদব। আগের দিনের অপরাজিত ব্যাটার সামারভিলকে ফিরিয়ে দেন।
[আরও পড়ুন: India vs New Zealand: দুর্দান্ত ফর্মে থাকা শ্রেয়স বাদ পড়তে পারেন পরের টেস্টে! আশঙ্কা ভারতের ক্রিকেট মহলে]
এরপরই একপ্রান্ত থেকে কিউয়ি ব্যাটারদের যাওয়া-আসা শুরু হয়। একে একে ফিরে যান রস টেলর, হেনরি নিকোলস, টম ব্লান্ডেলরা। কিন্তু অপর প্রান্তে লড়াই চালিয়ে যান টম লেথাম, কেন উইলিয়ামসনরা (Kane Williamson)। লেথাম খেলেন ১৪৬টি বল। উইলিয়ামসন খেলেন ১১২টি বল। এই দুই তারকার উইকেটের পতনের পর আবার একটা সময় মনে হচ্ছিল ভারত সহজেই ম্যাচ জিতে যাবে। সেখান থেকে আবার লড়াই শুরু করেন অভিষেক টেস্ট খেলতে নামা রচিন রবীন্দ্র। কার্যত একার হাতে দলকে হারের মুখ থেকে বাঁচিয়ে দেন তিনি। শেষ দিকে তাঁকে সঙ্গত করেন জেমিসন এবং অ্যাজাজ প্যাটেল। রবীন্দ্র একাই খেলেছেন ৯১টি বল। একাদশতম ব্যাটসম্যান অ্যাজাজ খেললেন ২৩টি বল।
[আরও পড়ুন: R Ashwin: টেস্ট উইকেটের নিরিখে কুম্বলে-কপিলের পরই অশ্বিন, টপকে গেলেন হরভজনকে]
শেষদিনে কিউয়িদের এই অপ্রত্যাশিত লড়াই নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। তবে, তিনজন প্রথম সারির স্পিনার থাকা সত্ত্বেও গোটা দিনে ৯ জন কিউয়ি ব্যাটারকে আউট করতে না পারাটা ভারতীয় বোলারদের ব্যর্থতা হিসাবেই গণ্য হবে।