সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতের ওপেনার মায়াঙ্ক আগরওয়ালের আউট নিয়ে রীতিমতো বিতর্ক তৈরি হয়েছে। দারুণ ব্যাট করছিলেন মায়াঙ্ক। কিন্তু সেই মায়াঙ্ককেই থামতে হল ব্যক্তিগত ৬০ রানে। এলবিডব্লু হয়ে তাঁকে ফিরতে হয়। প্রশ্ন উঠেছে বল ট্র্যাকিং নিয়ে। সোশ্যাল মিডিয়ায় মায়াঙ্কের আউট নিয়ে জোর আলোচনা চলছে।
লুঙ্গি এনগিডির ডেলিভারিটা ভিতরে ঢুকে এসেছিল। বলটা মায়াঙ্কের প্যাডের উপরের দিকে লাগে। আম্পায়ার এরাসমাস-সহ বাকিদের মনে হয়েছিল বল কখনওই উইকেটে লাগবে না। দক্ষিণ আফ্রিকার টেস্ট দলের অধিনায়ক ডিন এলগার আবেদন করেন। কিন্তু রিপ্লে দেখেও মনে হয় বল উইকেটে লাগবে না। কিন্তু বল ট্র্যাকিংয়ে দেখা যায় লেগ স্টাম্পের উপরের দিকের বাইরের অংশে বল এসে লাগছে। বড় স্ক্রিনের রিপ্লে দেখার পরে স্তম্ভিত হয়ে যান মায়াঙ্ক স্বয়ং। হতাশ ভারতীয় ওপেনারকে মাথা নাড়াতে নাড়াতে বেরিয়ে যেতে দেখা যায়।
[আরও পড়ুন: আইলিগ জয়ীকে দিতে হবে না আইএসএল ফ্র্যাঞ্চাইজি ফি]
পরে তাঁর আউট প্রসঙ্গে মায়াঙ্ক বলেন, ”এই ব্যাপারে আমার বলার কিছু নেই।” এ বিষয়ে মুখ খুললে মায়াঙ্ককে জরিমানা করা হতে পারে। সেই কারণেই মুখ খোলেননি তিনি। কিন্তু মায়াঙ্ক নিজের আউট প্রসঙ্গে নিশ্চুপ থাকলেও সোশ্যাল মিডিয়া কিন্তু চুপ থাকেনি। ওয়াসিম জাফর সোশ্যাল মিডিয়ায় টুইট করে লিখেছেন, ”উইকেটে কোনওমতেই লাগত না। দুর্ভাগ্য মায়াঙ্কের।” আর এক টুইটার ব্যবহারকারী ছবি পোস্ট করে লিখেছেন, ”এটা কীভাবে উইকেটে লাগে? সন্দেহজনক সিদ্ধান্ত।”
মায়াঙ্কের আউট নিয়ে বিতর্ক তৈরি হলেও তিনি এবং তাঁর বন্ধু লোকেশ রাহুল কিন্তু ওপেন করতে নেমে নজির তৈরি করেছেন। দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে তৃতীয় ভারতীয় ওপেনিং জুটি হিসেবে ১০০ রানের গণ্ডি পেরোন লোকেশ রাহুল-মায়াঙ্ক আগরওয়াল। ২০০৭ সালে ওয়াসিম জাফর এবং দীনেশ কার্তিক ১৫৩ রানের পার্টনারশিপের রেকর্ড গড়েছিলেন। এরপর ২০১০ সালে ওপেনিং জুটি হিসেবে ১৩৭ রান করেন গৌতম গম্ভীর ও বীরেন্দ্র শেহবাগ। প্রোটিয়াদের বিরুদ্ধে মায়াঙ্ক সেঞ্চুরি না পেলেও লোকেশ রাহুল শতরান পেয়েছেন। প্রথম দিনের শেষে ভাল জায়গায় রয়েছে ভারত।