ভারত: ১৬২-৫ (দীপক হুডা ৪১, ঈশান কিষান ৩৭)
শ্রীলঙ্কা: ১৬০-১০ (শানাকা ৪৫, মেন্ডিস ২৮, মাভি ৪-২২)
ভারত ২ রানে জয়ী।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তারুণ্যেই ভরসা। তারুণ্যেই সাফল্য। ওয়াংখেড়ের বুকে মাত্র ১৬২ রান পুঁজি করে শ্রীলঙ্কাকে আটকে দিল ভারত। টানটান ম্যাচে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ২ রানে জিতল টিম ইন্ডিয়া। সৌজন্য অভিষেক ম্যাচে শিবম মাভির (Shivam Mavi) দুর্দান্ত বোলিং। এবং অক্ষর প্যাটেলের অল-রাউন্ড পারফরম্যান্স।
এদিন টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেয় শ্রীলঙ্কা (Sri Lanka)। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে করলেও দ্রুত উইকেট খুইয়ে চাপে পড়ে যায় টিম ইন্ডিয়া (Team India)। এদিন ওপেনার হিসাবে অভিষেক হয় শুভমন গিলের। কিন্তু প্রথম ম্যাচে দাগ কাটতে পারেননি তিনি। মাত্র ৭ রানে আউট হন গিল। সদ্য ভাইস ক্যাপ্টেন হিসাবে প্রোমোশন পাওয়া সূর্যকুমার যাদবও করেন মাত্র ৭ রান। তবে অন্য প্রান্তে ঈশান কিষান ২৯ বলে ৩৭ রানের ইনিংস খেলেন। অধিনায়ক হার্দিককেও (Hardik Pandya) বেশ ঝকঝকে দেখাচ্ছিল। কিন্তু তিনিও ভাল শুরুর পর সেভাবে সুবিধা করতে পারেননি। ২৭ বলে ২৯ রান করেন হার্দিক। একটা সময় মনে হচ্ছিল ভারত তেমন লড়াকু স্কোর খাড়া করতে পারবে না। কিন্তু শেষদিকে দীপক হুডার ২৩ বলে ৪১ রান এবং অক্ষর প্যাটেলের ২০ বলে ৩১ রানের ইনিংসে ভর করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৬২ রানে পৌঁছে যায় ভারত।
[আরও পড়ুন: চোট সারিয়ে ভারতীয় শিবিরে বুমরাহ, শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ঘোষিত ওয়ানডে সিরিজের নয়া দল]
জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভাল হয়নি শ্রীলঙ্কার। এদিন ভারতের হয়ে অভিষেক করতে আসা শিবম মাভি শ্রীলঙ্কাকে শুরুতেই ধাক্কা দেন। দ্রুত ফেরেন পাথুম নিশঙ্কা এবং ধনঞ্জয় দ্যা সিলভাকে। তবে ওপেনার কুশল মেন্ডিস ২৮ রানের ইনিংস খেলেন। আসালাঙ্কা এবং রাজাপাক্ষাও সেভাবে সুবিধা করতে পারেননি। একটা সময় ৬৮ রানে ৫ উইকেট খুইয়ে বেশ চাপে পড়ে গিয়েছিল শ্রীলঙ্কা। সেখান থেকে শেষদিকে দুর্দান্ত ইনিংস খেললেন শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক শনাকা। মাত্র ২৭ বলে ৪৫ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। ১০ বলে ২১ রানের ইনিংস খেলেন হাসরাঙ্গাও। এই দুই ইনিংসেই ম্যাচে ফেরে শ্রীলঙ্কা।
[আরও পড়ুন: উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ফের দেখা যাবে রোনাল্ডোকে! সম্ভাবনা ঘিরে তুঙ্গে জল্পনা]
শেষদিকে চামিকা করুণারত্নেও লড়াই চালান। কিন্তু শেষ পর্যন্ত দলকে জেতাতে পারলেন না শ্রীলঙ্কার অল-রাউন্ডার। শেষ ওভারে ১৩ রান হাতে নিয়ে বল করতে নামেন অক্ষর প্যাটেল। সামনে ছিলেন করুণারত্নে। শেষ পর্যন্ত অক্ষর দেন মাত্র ১০ রান। স্নায়ুর চাপ সামলে বাজিমাত করেন ভারতীয় স্পিনার। ভারতের হয়ে মাত্র ২২ রান দিয়ে চার উইকেট নেন মাভি। আরেক তরুণ পেসার উমরান মালিক ২ উইকেট নেন ২৭ রান দিয়ে। হার্দিকের এই তরুণ ব্রিগেড যেভাবে ওয়াংখেড়ের মতো রানের মাঠে ১৬২ রান আটকাল, সেটা বেশ প্রশংসনীয়।