সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে চিনের ‘দাদাগিরি’ রুখতে এবার গ্রিসকে পাশে পেল ভারত! দুদিনের সফরে সস্ত্রীক ভারতে এসেছেন গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী কিরিয়াকোস মিৎসোতাকিস। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সঙ্গে বৈঠক করেছেন তিনি। এই আলোচনার পরই দুদেশের সম্পর্ক আরও দৃঢ় করার বার্তা দেন মোদি। পাশাপাশি ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের বিষয়ে গ্রিসের উদ্যোগী হওয়াকে আহ্বান জানান তিনি।
বুধবার নয়াদিল্লিতে পা রেখেছেন গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী কিরিয়াকোস মিৎসোতাকিস। রাষ্ট্রপতিভবনে তাঁকে গার্ড অফ অনার দেওয়া হয়। সঙ্গে ছিলেন তাঁর স্ত্রী মারিয়া ইভা ভার্জিনিয়া গ্রাবোস্কি। দুজনকে স্বাগত জানান প্রধানমন্ত্রী মোদি। এর পরই কিরিয়াকোসের সঙ্গে বৈঠকে বসেন তিনি। আলোচনার পর গ্রিসের প্রধানমন্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে মোদি বলেন, “আজ আমাদের মধ্যে বিভিন্ন আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বিষয় নিয়ে বৈঠক হয়েছে। আমাদের দুজনেরই মত, আলোচনা ও কূটনীতির মাধ্যমে সমস্ত বিবাদ ও সমস্যার সমাধান করা যায়। ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে ইতিবাচক যোগদান করেছে গ্রিস। তাদের এই উদ্যোগকে আমরা স্বাগত জানাই।”
আগামিদিনে ভারত ও গ্রিস সম্পর্ককে আরও উচ্চপর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে মোদি বলেন, “আগামিদিনে দুদেশের সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে। দুই দেশের মধ্যে উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রগুলোতে সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে জোর দেওয়া হবে। আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৫ সালে ভারত-গ্রিস দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ২৫ বছর পূর্ণ হবে। যা উদযাপন করার জন্য আমরা একটি বিশেষ পরিকল্পনা করেছি। এর মাধ্যমে আমরা দুদেশের ঐতিহ্য, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, খেলাধুলা ও অন্যান্য ক্ষেত্রে আমরা যে সাফল্য অর্জন করেছি তা বিশ্ব দরবারের তুলে ধরতে পারব।” সাংবাদিক সম্মেলনে মোদির সঙ্গে সহমত পোষণ করেন গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী কিরিয়াকোস মিৎসোতাকিস।
বলে রাখা ভালো, দক্ষিণ চিন সাগর ও ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে লালফৌজ দাদাগিরি চালাচ্ছে। কমিউনিস্ট দেশের এই আগ্রাসানে বিপন্ন মুক্তবাণিজ্য পথ। এছাড়া বিভিন্ন দেশের নিরাপত্তাও বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে গা জোয়ারি করে ভারতের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়ে চিন। বেজিংকে রুখতে আমেরিকা, জাপান ও অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে ‘কোয়াড’ জোট গড়ে তুলেছে নয়াদিল্লি। বিশ্লেষকদের মতে, ভারতের সঙ্গে গ্রিসের সম্পর্ক ভালোই। ফলে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে আগামিদিনে চিনকে আটকাতে জোটবদ্ধ হতে পারে দুদেশ।