সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আগামী তিন থেকে পাঁচ বছরের মধ্যেই উৎপাদনক্ষেত্রে চিনের (China) সমকক্ষ হয়ে উঠতে পারে ভারত- এমনটাই মত বিশ্ব ব্যাংকের (World Bank) প্রধান অজয় বাঙ্গার। এই পদে বসার পরে প্রথমবার ভারত সফরে এসেছিলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত অর্থনীতিবিদ। সেখানে এসেই তিনি জানান, গত অর্থবর্ষে ভারতের জিডিপি বৃদ্ধির হার ছিল ৭ শতাংশেরও বেশি। সেই বিষয়টি মাথায় রেখেই বিশ্ব ব্যাংকের প্রধান বলেন, আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই উৎপাদন ক্ষেত্রে চিনকে টক্কর দেওয়ার ক্ষমতা থাকবে ভারতের (India)।
বাঙ্গা বলেন, “ভারতে অনেক কিছুই হয়েছে যার ফলে আগামী দিনে অন্যদের থেকে অনেক এগিয়ে থাকতে পারে দেশ। বর্তমান পরিস্থিতিতে ৭ শতাংশ জিডিপি বৃদ্ধির হার থাকলে অনেক দেশই খুব খুশি হতো। তাছাড়াও দারিদ্র্য দূরীকরণে অনেক সাফল্য পেয়েছে ভারত। দারিদ্র্য দূরীকরণ আর কর্মসংস্থান- এই দু’টি বিষয়ে সাফল্য পেলেই আর্থিক ভাবে দেশের উন্নতি হবে।”
[আরও পড়ুন: ‘আমি চর নই, পাকিস্তানে পাঠাবেন না’, মোদি ও যোগীর কাছে আরজি সীমা হায়দারের]
অতিমারীর পরে ভারতের মাটিতে একাধিক বিনিয়োগের ডাক দিয়েছে একাধিক বিদেশি সংস্থা। তার মধ্যে রয়েছে টেসলার মতো কোম্পানিও। একই সময়ে চিনেও বিনিয়োগ করছে বিখ্যাত সংস্থাগুলি। এই সময়কেই ভারতের প্রশাসন কাজে লাগাতে পারে বলে বাঙ্গার অনুমান। তিনি বলেন, চিনের পাশাপাশি আরও অন্যান্য দেশে নিজেদের বিস্তার করতে চাইছে নানা সংস্থা। সেই সুযোগকে আগামী তিন থেকে পাঁচ বছরের মধ্যে কাজে লাগাতে হবে। এই সময়টুকু যদি সঠিকভাবে কাজে লাগানো যায়, তাহলে আগামী দিনে উৎপাদনের ক্ষেত্রে চিনের সমকক্ষ হয়ে উঠতে পারে ভারত।
তবে একই সঙ্গে সতর্কবার্তাও শুনিয়েছেন বিশ্ব ব্যাংকের প্রধান। তিনি বলেন, এই সুযোগ কিন্তু দীর্ঘদিন ভারতের হাতে থাকবে না। পাঁচ বছরের মধ্যে উন্নতি করতে না পারলে আবারও চিনের থেকে পিছিয়ে পড়তে হবে ভারতকে, এমনটাই অনুমান বিশেষজ্ঞ মহলের। অতিমারীর জেরে কড়া লকডাউন ছিল চিনে, তার জেরে বিশাল ধাক্কা খেয়েছে চিনের উৎপাদন শিল্প। সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়াতে মার্কিন সংস্থার সাহায্য নিতেও পিছপা হচ্ছে না চিন প্রশাসন। এহেন পরিস্থিতিতেই ভারতের সামনে সুযোগ রয়েছে উৎপাদন শিল্পে চিনকে টেক্কা দেওয়ার। কিন্তু সময় নষ্ট করলে হাতছাড়া হবে এই সুযোগ, সতর্কবার্তা বাঙ্গার।
[আরও পড়ুন: মণিপুরে মহিলাদের বিবস্ত্র করার ঘটনায় গ্রেপ্তার ৪, এত বিতর্কেও ইস্তফা দিচ্ছেন না মুখ্যমন্ত্রী]