সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আগামী এক দশকে হয়তো আর্থিক বৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করবে দেশ। কিন্তু সেই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হলেও মিটবে না বেকার সমস্যা। দাবি করা হয়েছে Citigroup Inc.-র একটি রিপোর্টে। ওই সমীক্ষক সংস্থা বলছে, দেশের আর্থিক বৃদ্ধির হার ৭ শতাংশ হলেও বেকার সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়। সেজন্য আরও সুচিন্তিত পদক্ষেপ করতে হবে।
এই মুহূর্তে দেশের আর্থিক বৃদ্ধির কমবেশি ৭ শতাংশ। আগামী ১০ বছরে এই হারেই বৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা রাখছে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) সরকার। কিন্তু সিটি গ্রুপের রিপোর্ট বলছে, এই হারে বৃদ্ধি হলেও বেকারত্ব মেটানো সম্ভব নয়। ভারতের বিপুল জনসংখ্যর চাকরির চাহিদা মেটাতে হলে প্রতি বছর অন্তত ১ কোটি ২০ লক্ষ নতুন চাকরির সুযোগ তৈরি হওয়া প্রয়োজন। কিন্তু বর্তমান হারে আর্থিক বৃদ্ধি হলে ৮০-৯০ লক্ষের বেশি চাকরির সুযোগ তৈরি করা সম্ভব নয়।
[আরও পড়ুন: হুমকি, বিতর্ককে বুড়ো আঙুল! সাম্প্রদায়িক হিংসার আঁধারে ‘মা কালী’র টিজারে দুরন্ত রাইমা সেন]
আরও একটা সমস্যার জায়গা হল চাকরির মান। ভারতে শিক্ষিত যুবসমাজের জন্য ভালো মানের চাকরির সুযোগ হচ্ছে না। ওই রিপোর্ট বলছে, দেশের মোট কাজের ৪৬ শতাংশ কাজের সুযোগই কৃষিক্ষেত্রে। অথচ দেশের মোট আর্থিক বৃদ্ধিতে কৃষিক্ষেত্রের অবদান ২০ শতাংশেরও কম। হিসাবে বলছে, করোনার (Coronavirus) পর দেশের সংগঠিত ক্ষেত্রে চাকরির সুযোগ আগের থেকে বেশ খানিকটা কমেছে। করোনার আগে দেশে সংগঠিত ক্ষেত্রে চাকরির হার ছিল ২৪ শতাংশ, সেটা এখন কমে হয়েছে ২১ শতাংশ। যা কিনা গত ১৮ মাসে সর্বনিম্ন।
[আরও পড়ুন: ‘আব কি বার চারশো পার, তবে অন্য দেশে’! ব্রিটেনের ফলাফল তুলে মোদিকে খোঁচা থারুরের]
ওই সংস্থার রিপোর্ট বলছে, সরকারি তথ্য যতই দেশের বেকারত্বের হার ৩.২ শতাংশ বলে দাবি করুক, বাস্তব ছবিটা অনেকটাই করুণ। CMIE সদ্য যে রিপোর্ট দিয়েছে, সেই রিপোর্ট অনুযায়ী মে মাসে দেশের বেকারত্বের হার ছিল ৯.২ শতাংশ। যা গত ৮ মাসে সর্বোচ্চ। ২০-২৪ বছর বয়সীদের মধ্যে বেকারত্বের হার ৪০ শতাংশ। এই পরিস্থিতি বদলাতে সুপরিকল্পিত উন্নয়ন দরকার। শুধু ৭ শতাংশ আর্থিক বৃদ্ধি যথেষ্ট নয়।