সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রথম টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশকে স্রেফ উড়িয়ে দেওয়া। সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচেও একইরকম মানসিকতা নিয়ে নামছে ভারত। হায়দরাবাদের জন্য আর অপেক্ষা করতে চান না সূর্যকুমার যাদবরা। নয়াদিল্লিতেই সিরিজ জয়ের কাজটা সেরে রাখতে চান তাঁরা। টি-টোয়েন্টি সিরিজের দিন চারেক পরই ঘরের মাঠে আবার নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে তিন টেস্টের সিরিজ রয়েছে। সে কথা মাথায় রেখেই শুভমান গিল, ঋষভ পন্থ, অক্ষর প্যাটেলদের মতো ক্রিকেটারদের বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে। দলে বেশ কিছু তরুণ ক্রিকেটাররা রয়েছেন। বাংলাদেশ মিডিয়ার কেউ কেউ বলছিলেন, অভিজ্ঞতার দিক থেকে বাংলাদেশ ভারতের থেকে এগিয়ে। কিন্তু প্রথম টি-টোয়েন্টির পর নাজমুল হোসেন শান্তরা একটা ব্যাপার ভালোভাবে বুঝে গিয়েছেন– শক্তির দিক থেকে ভারতীয় টিম ঠিক কতটা এগিয়ে।
যা খবর, তাতে দ্বিতীয় ম্যাচে ভারতীয় টিমে খুব বেশি পরিবর্তন হওয়ার সম্ভাবনা কম। একইসঙ্গে অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামের বাইশ গজ যে ব্যাটিং-ফ্রেন্ডলি হবে, সেটা বলে দেওয়াই যায়। আর হার্দিক পাণ্ডিয়ারা যেভাবে ব্যাটিং করছেন, সেটা অবশ্যই চিন্তায় রেখে দেবে বাংলাদেশকে। গোয়ালিয়রে জাতীয় দলের জার্সিতে নিজের প্রথম ম্যাচে নজর কেড়েছিলেন তরুণ পেসার মায়াঙ্ক যাদব। একইসঙ্গে অর্শদীপ সিংও দুরন্ত বোলিং উপহার দেন। ম্যাচের সেরাও হয়েছিলেন তিনি। দ্বিতীয় ম্যাচে নামার আগে অর্শদীপ বলছিলেন, ‘‘আমরা কাল মাঠে গিয়ে দেখব পরিবেশ কেমন। সেই অনুযায়ী পরিকল্পনা হবে। কোচ আর অধিনায়ক, দু’জনে পিচ দেখবে। তারপর ওই উইকেটে আমাদের পরিকল্পনা কী হবে, সেটা নিয়ে আলোচনা হবে।’’
বাংলাদেশ চাইছে যেনতেন প্রকারেণ নয়াদিল্লিতে জিততে। না হলে টেস্টের পর টি-টোয়েন্টি সিরিজেও হেরে ফিরতে হবে। তবে দিল্লি ম্যাচের আগে বাংলাদেশের এক তারকা ক্রিকেটার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ জানিয়ে দিলেন, এটাই তঁার শেষ টি-টোয়েন্টি সিরিজ। অর্থাৎ হায়দরাবাদে সিরিজের শেষ ম্যাচ খেলার পর তিনি টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট থেকে অবসর নিচ্ছেন। এর আগে সাকিব আল হাসান জানিয়ে দিয়েছিলেন যে তিনি দেশের হয়ে শেষ টি-টোয়েন্টি খেলে ফেলেছেন। এবার বাংলাদেশের আরও এক সিনিয়র ক্রিকেটার অবসরের কথা জানিয়ে দিলেন। মাহমুদউল্লাহ-র বক্তব্য, ‘‘টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নেওয়ার এটাই আদর্শ সময়। তরুণ সুযোগ দিতে হবে।’’
বাংলাদেশ চাইছে মাহমুদুল্লাহর অবসর সিরিজটা মনে রাখার মতো করে রাখতে। কিন্তু ভারতকে হারানোর কাজ যে কী পরিমাণ কঠিন, সেটা গোয়ালিয়রের টি-টোয়েন্টির পর আরও একবার বুঝে গিয়েছেন শান্তরা। তাই মাহমুদউল্লাহ-র বিদায় স্মরণীয় হবে কি না, ঘোর সন্দেহ।