সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শনিবার বিকেলে কাশ্মীরের (Kashmir) কুলগামে (Kulgam) সেনার গুলিতে খতম হল এক জঙ্গি (Terrorist)। জঙ্গিদের সঙ্গে সেনার গুলির লড়াইয়ের সময়ই ওই জেহাদির মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে ৬০ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে রয়েছে স্কুলপড়ুয়ারাও। এখনও এলাকায় সেনা তল্লাশি চালাচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।
ঠিক কী হয়েছিল? জানা গিয়েছে, কুলগামের আশমুজি এলাকায় জঙ্গিরা আত্মগোপন করে রয়েছে খবর এসেছিল সেনার কাছে। এরপরই সেখানে তল্লাশি চালায় নিরাপত্তা বাহিনী। অপারেশন শুরুর পরেই আচমকা বাহিনীকে লক্ষ্য করে গুলি চালাতে থাকে জঙ্গিরা। পালটা জবাব দেয় সেনা। এরপরই এক জঙ্গি মারা যায় গুলিতে। ঘটনাস্থলে আটকে পড়া ৬০ জনকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার পরও তল্লাশি চালানো হচ্ছে। এলাকা ঘিরে রেখে রেখেছে জওয়ানরা।
[আরও পড়ুন: ‘ইমরান খান আমার বড় ভাই’, ফের ‘পাকিস্তান প্রেম’ নিয়ে বিতর্কে কংগ্রেস নেতা সিধু]
উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে কুলগামেই সেনা-জঙ্গি গুলির লড়াইয়ে খতম হয় প্রভাবশালী জঙ্গি সংগঠন হিজবুল মুজাহিদিনের (Hizbul) এক শীর্ষ কম্যান্ডার। হিজবুলের আরও এক জেহাদিও নিকেশ হয় সেই অভিযানে। নিহত মুজাহিদিন কম্যান্ডার এইচএম শিরাজ মলভি ২০১৬ সাল থেকে হিজবুলের সঙ্গে যুক্ত ছিল বলে জানা যায়। এলাকায় হিজবুলের জন্য জেহাদিদের নিয়োগ করাই ছিল তার কাজ। কয়েক দিনের মধ্যেই ফের কুলগামে নিকেশ হল এক জঙ্গি।
প্রসঙ্গত, কাশ্মীরে গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই বাড়ছে অনুপ্রবেশের চেষ্টা। আসলে শীত পুরো উপত্যকা বরফে ঢেকে যাওয়ার আগেই জেহাদি সংগঠনগুলি নিজেদের কম্যান্ডারদের ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা করছে। জেহাদিদের এই অপচেষ্টা অবশ্য দক্ষতার সঙ্গে রুখে দিয়েছে ভারতীয় সেনা। অক্টোবরেও ক্রমাগত নাশকতা চালিয়ে কাশ্মীরে আতঙ্কের দিন ফেরানোর ছক কষেছিল জঙ্গিরা। হিন্দু ও শিখদের টার্গেট করছে জেহাদিরা। কিন্তু তাদের ষড়যন্ত্র ভেস্তে দিয়েছে ভারতীয় সেনা, কাশ্মীর পুলিশ এবং ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি বা এনআইএ।