সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘লাল সন্ত্রাস’ দমনে বড়সড় সাফল্য। শুক্রবার মহারাষ্ট্রের গাডচিরোলি জেলায় অস্ত্রসস্ত্র সমেত আত্মসমর্পণ করলেন ১২ জন মাওবাদী নেতা। সব মিলিয়ে তাদের মাথার দাম ছিল ১ কোটি টাকা। মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবিস খবরটি প্রকাশ্যে এনেছেন। মহারাষ্ট্রের পাশাপাশি ছত্তিশগড়েও আত্মসমর্পণ করছেন ৭ জন মাওবাদী নেতা। ছত্তিশগড়-সহ বিভিন্ন রাজ্যে লাগাতার চলতে থাকা অভিযানের মাঝে এত বড় সংখ্যায় আত্মসমর্পণ পুলিশ এবং নিরাপত্তরক্ষীদের বড় সাফল্য হিসাবেই দেখা হচ্ছে।
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ফড়ণবিস বলেন, “প্রায় ১২ জন মাওবাদী আত্মসমর্পণ করেছে। সব মিলিয়ে তাদের মাথার দাম ছিল ১ কোটি টাকারও বেশি। তারা এখনও সমাজের মূলস্রোতে ফিরে আসতে চায়। লাল সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে এটি বড়সড় সাফল্য। এই রাজ্যে এখন খুব কম সংখ্যক মাওবাদী অবশিষ্ট রয়েছেন। আমি তাদের আত্মসমর্পণ করার আহ্বান জানাচ্ছি। যদি তারা আত্মসমর্পণ না করে, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” আত্মসমর্পণকারী মাওবাদীদের আর্থিক সাহায্য-সহ মাওবাদী পুনর্বাসন নীতি মেনে চাকরি এবং আরও নানান সাহায্য করা হবে বলে জানা গিয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০২৬ সালের মার্চ মাসের মধ্যে মাওবাদমুক্ত ভারত গড়ার বার্তা দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এরপর থেকেই ছত্তিশগড়, ঝড়খণ্ডের মতো মাও অধ্যুষিত রাজ্যগুলিতে মাওবিরোধী অভিযান ব্যাপক গতি পেয়েছে। গোয়েন্দাদের মতে, বর্তমানে ছত্তিশগড় তেলেঙ্গানা সীমানাবর্তী কারেগুট্টা পাহাড়ি এলাকা মাওবাদীদের অন্যতম শক্তঘাঁটি। এই এলাকা থেকে মাওবাদের শিকড় উপড়ে ফেলতে প্রায় ৩ হাজার আধাসেনাকে নামানো হয়েছে। ২১ এপ্রিল থেকে ওই অঞ্চলে শুরু হয়েছে অভিযান। এখনও পর্যন্ত ওই এলাকাজুড়ে অভিযান চালিয়ে ৩১ জনের বেশি মাওবাদীকে হত্যা করা হয়েছে। ছত্তিশগড়, মহারাষ্ট্র ও তেলেঙ্গানা সীমানা ঘেঁষা পাহাড় ও জঙ্গলে ঘাঁটি গেড়ে থাকা ১০০০ মাওবাদীকে ধরতে নামানো হয়েছে প্রায় ২০ হাজারের বেশি যৌথ বাহিনীকে। অভিযানে ইতিমধ্যেই খতম করা হয়েছে মাওবাদীদের সাধারণ সম্পাদক বাসবরাজুকে, যার মাথার দাম ছিল ১.৫ কোটি টাকা। গত বৃহস্পতিবার নিরাপত্তরক্ষীদের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে মৃত্যু হয়েছে মাওবাদীদের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুধাকরের।
