সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের রক্তাক্ত মণিপুর। নতুন করে হিংসার আগুনে জ্বলে উঠল উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যটি। দুই জঙ্গি গোষ্ঠীর ভয়ঙ্কর গুলির লড়াইয়ে মৃত্যু হল ১৩ জনের। এখনও পর্যন্ত মৃতদের পরিচয় জানা যায়নি। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
এএফপি সূত্রে খবর, সোমবার বেলার দিকে গুলির লড়াইয়ে কেঁপে ওঠে মণিপুরের টেংনুপাল জেলা। এই ঘটনার বিষয়ে নিরাপত্তাবাহিনীর আধিকারিকরা জানিয়েছেন, টেংনুপালের সাইবোল এলাকার লেইথু গ্রামে দুই সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। গুলি চলে। সংঘর্ষের খবর পেয়ে নিরাপত্তারক্ষীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। সেখান থেকে ১৩টি দেহ উদ্ধার করা হয়। তবে দেহগুলোর পাশ থেকে কোনও আগ্নেয়াস্ত্র পাওয়া যায়নি। এখনও পর্যন্ত মৃতদের পরিচয় নিয়ে কিছু জানায়নি প্রশাসন। তবে মনে করা হচ্ছে, মৃতরা কেউ লেইথু গ্রামের নয়। তাঁরা অন্য জায়গা এসে একটি পৃথক দলের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
[আরও পড়ুন: অনলাইনে অর্ডার করে বিরিয়ানিতে মিলল মরা টিকটিকি! ক্ষুব্ধ গ্রাহক, কী জবাব দিল Zomato?]
উল্লেখ্য, গত ৮ মাস ধরে মেতেই-কুকি গোষ্ঠী সংঘর্ষে জ্বলছে মণিপুর (Manipur)। ৩ মে উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে মেতেই-কুকি জাতি সংঘর্ষ শুরু হয়। এখনও সেখানে থেকে থেকেই জ্বলে উঠছে হিংসার আগুন। পরিসংখ্যান বলছে, মণিপুরে এপর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন কমপক্ষে ২০০ জন। পরিস্থিতি সামাল দিতে সেনা আসরে নামলেও অশান্তি অব্যাহত। কয়েকদিন আগেই ইম্ফলে মুখ্যমন্ত্রী এন বিরেন সিংয়ের বাংলোর কাছেই থানায় হামলা চালিয়ে অস্ত্র লুটের চেষ্টা করে দুষ্কৃতীরা। তাদের রুখতে গুলি চালাতে বাধ্য হয় পুলিশ।
বলে রাখা ভালো, কুকি-মেতেই গোষ্ঠী সংঘর্ষের সুযোগ নিয়ে হিংসার আগুনে ঘি ঢালছে জঙ্গি সংগঠনগুলো। ভারত ভাঙার ছক কষছে তারা বলে একাধিক রিপোর্ট দিয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলো ! এই পরিস্থিতিতে উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে শান্তি ফেরাতে গত মাসেই বড় পদক্ষেপ করেছিল কেন্দ্র। সেরাজ্যে ৯টি মেতেই জঙ্গি দলকে ৫ বছরের জন্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।