নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন সম্পত্তি মামলায় শীর্ষ আদালতে বিরাট স্বস্তিতে তৃণমূলের ১৯ নেতা-মন্ত্রী। এ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে ( Supreme Court) পর্যবেক্ষণ, তৃণমূল নেতাদের সম্পত্তি যে পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে, তা অস্বাভাবিক নয়। এই মামলায় ইডিকে যুক্ত করার অর্থ নেই। এই আবেদন খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট। পুজোর আগে ‘সুপ্রিম’ নির্দেশে বড়সড় স্বস্তিতে ফিরহাদ হাকিম, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, মলয় ঘটক, অমিত মিত্র, স্বর্ণকমল সাহা, ব্রাত্য বসুরা।
কলকাতা হাই কোর্টে বিপ্লব কুমার চৌধুরী ও অনিন্দ্য সুন্দর দাস নামে দুই ব্যক্তির জনস্বার্থ মামলার মূল বিষয় ছিল, ২০১১ সাল থেকে শাসক তৃণমূল (TMC) নেতা-মন্ত্রীদের সম্পত্তির হিসেবনিকেশ করে দেখা গিয়েছে, একেকজনের সম্পত্তির (Assets) পরিমাণ বেড়েছে হাজার গুণ পর্যন্ত। জনপ্রতিনিধিদের নির্বাচনী হলফনামায় সম্পত্তির যে পরিমাণ দেখানো হয়েছিল, পরবর্তী ৫ বছরে তা প্রচুর পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে। কীভাবে এই বৃদ্ধি? এই প্রশ্ন তুলে ২০১৭ সালে হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল। তালিকায় নাম ছিল জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, মলয় ঘটক, গৌতম দেব, ইকবাল আহমেদ, ফিরহাদ হাকিম, স্বর্ণকমল সাহা, ব্রাত্য বসু, জাভেদ খান, অরূপ রায়, আবদুর রেজ্জাক মোল্লা, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, সব্যসাচী দত্ত, শিউলি সাহা ও বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের। যেহেতু বিষয়টি সম্পত্তি নিয়ে তাই এই মামলায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটকে (ED) পার্টি করার নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta HC) প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।
[আরও পড়ুন: ববিতা সরকারের পর প্রিয়াঙ্কা সাউ, SSC মামলায় হাই কোর্টের নির্দেশে চাকরি পেলেন যোগ্য প্রার্থী]
এর বিরোধিতা করে বিধায়ক স্বর্ণকমল সাহা (Swarnakamal Saha) সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন। তাঁর মামলায় বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিল, ইডিকে যুক্ত করার কোনও প্রয়োজন নেই। সম্পত্তি বৃদ্ধির পরিমাণ অস্বাভাবিক নয়। আর এই নির্দেশে নিজেদের বড় জয় করে মনে করছেন তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীরা।
[আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রিত্ব বাঁচাতে রণে ভঙ্গ, কংগ্রেস সভাপতি পদের দৌড় থেকে সরলেন গেহলট]
এনিয়ে মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের বক্তব্য, আয়কর দিয়েও যদি আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন সম্পত্তি নিয়ে মামলা হয়, কুৎসা হয়, তাহলে তা অবশ্যই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষেরও বক্তব্য একই। তিনি বলছেন, প্রমাণ হয়ে গেল মামলার কোনও ভিত্তি নেই। বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, সত্য প্রতারিত হতে পারে, পরাজিত হয় না।