সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ১৯৮৪ সালের শিখ-বিরোধী দাঙ্গায় (anti-Sikh riot) অভিযুক্ত বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা জগদীশ টাইটলারের কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করল সিবিআই। ইন্দিরা গান্ধীর মৃত্যুর পর হওয়া শিখ দাঙ্গায় নয়াদিল্লির পুল বাঙ্গাশ অঞ্চলে তিন ব্যক্তির মৃত্যু হয়। ওই হত্যাকাণ্ডের পিছনে ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে অভিযুক্ত কংগ্রেস (Congress) নেতা। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ দুষ্কৃতীদের উসকানি দেওয়ার।
মঙ্গলবার দিল্লিতে সেন্ট্রাল ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবরেটরিতে যান জগদীশ টাইটলার। সেখানেই তাঁর কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। কিন্তু কেন প্রায় চার দশক পুরনো ঘটনার জন্য তলব কংগ্রেস নেতাকে?সূত্রের দাবি, কেন্দ্রীয় সংস্থা সদ্য়ই দাঙ্গা সংক্রান্ত নতুন প্রমাণ পেয়েছেন। আর সেই কারণেই ডাক পড়েছে জগদীশের।
কিন্তু ল্যাবরেটরি থেকে বেরনোর সময় সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় কার্যতই মেজাজ হারান তিনি। তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে, ”আমি ফাঁসি যেতে প্রস্তুত, যদি আমার বিরুদ্ধে একটিও প্রমাণ মেলে। কী করেছি আমি?” সেই সঙ্গে তাঁর দাবি, ”এর সঙ্গে ১৯৮৪ সালের দাঙ্গা সংক্রান্ত মামলার কোনও যোগ নেই। অন্য একটি মামলায় আমার কণ্ঠস্বরের নমুনা চাওয়া হয়েছিল।”
[আরও পড়ুন: ‘বিরোধীদের কণ্ঠরোধ, গণতন্ত্র ধ্বংস করা হচ্ছে’, মোদি সরকারকে ফের তোপ সোনিয়ার]
নিজের শিখ দেহরক্ষীদের হাতে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী নিহত হওয়ার পরই শুরু হয় শিখ-বিরোধী দাঙ্গা। সেই দাঙ্গায় অন্তত ৩ হাজার লোক মারা যান। যদিও বেসরকারি হিসেবে কেবল দিল্লিতেই হাজার তিনেক মানুষ দাঙ্গার বলি হয়েছিলেন। গোটা দেশ মিলিয়ে সংখ্যাটা ৮ হাজার। আর এই মামলাতেই অ্যতম অভিযুক্ত হিসেবে উঠে এসেছে জগদীশ টাইটলারের নাম। এর আগে তিন বার তাঁকে নিষ্কৃতি দিয়েছে সিবিআই। কিন্তু ৭৮ বছরের কংগ্রেস নেতার বিরুদ্ধে নতুন করে প্রমাণ মিলেছে বলে গুঞ্জন। ২০০৪ সালে মনমোহন সিং সরকারে তিনি মন্ত্রী হয়েছিলেন। তবে শেষ পর্যন্ত প্রতিবাদের মুখে পড়ে তাঁকে ইস্তফা দিতে হয়।