সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নির্বাচন নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের শুনানির আগেই পদত্যাগ করলেন চণ্ডীগড়ের (Chandigarh) মেয়র। সেই সঙ্গে আপ ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিলেন অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দলের তিন কাউন্সিলর। উল্লেখ্য, চণ্ডীগড়ের মেয়র নির্বাচনে গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয়েছে বলে তোপ দেগেছিল সুপ্রিম কোর্ট।
চণ্ডীগড়ের মেয়র নির্বাচনে জোট বেঁধে লড়েছিল আপ (AAP) ও কংগ্রেস। আপের প্রার্থীকেই সমর্থন দিয়েছিল হাত শিবির। ভোটের হিসাবে প্রথমে এগিয়েও গিয়েছিলেন আপ-কংগ্রেস (Congress) জোটের প্রার্থী কুলদীপ সিং। মোট ৩৬টি বৈধ ভোটের মধ্যে ২০টি ভোট পান তিনি। অন্যদিকে, বিজেপির (BJP) মেয়র পদপ্রার্থী মনোজ সোনকর পান ১৬টি ভোট। কিন্তু পরে কুলদীপের পাওয়া ৮টি ভোটকে বাতিল ঘোষণা করেন প্রিসাইডিং অফিসার অনিল মসিহ। উল্লেখ্য, গণনার নির্দিষ্ট দিনে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন তিনি। পরের দিন গণনা করতে এসেই জোটের ৮টি ভোট বাতিল করে দেন।
[আরও পড়ুন: কংগ্রেস ছাড়ছেন কমল নাথ? জল্পনার মাঝেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানালেন ঘনিষ্ঠ নেতা]
এই ফলাফল চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) দ্বারস্থ হন কুলদীপ। তার পরেই গোটা নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে তীব্র ভর্ৎসনা করে সুপ্রিম কোর্ট। চরম অসন্তোষ প্রকাশ করে শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, যে পদ্ধতিতে বিজেপি নিয়ন্ত্রিত প্রশাসন আপ-কংগ্রেসের জোট প্রার্থীকে হারিয়েছে, তা কার্যত ‘গণতন্ত্রের নামে প্রহসন। গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয়েছে’। ১৯ ফেব্রুয়ারি প্রিসাইডিং অফিসার অনিলকে কাউন্সিল মেমবারদের কাছে হাজিরা দিতেও নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট।
ঠিক তার আগের দিনই বড়সড় নাটক চণ্ডীগড় পুরসভায়। রবিবার রাতের দিকে পদত্যাগ করেন সদ্য নির্বাচিত মেয়র মনোজ। তার পরেই জানা যায়, বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন আপের তিন কাউন্সিলর। ফলে চণ্ডীগড় পুরসভায় ইন্ডিয়া জোটের সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার আশঙ্কা ক্ষীণ। ৩৫ সদস্যের পুরসভায় বিজেপির কাউন্সিলর সংখ্যা ১৪ থেকে বেড়ে দাঁড়াল ১৭। এছাড়াও অকালি দলের এক কাউন্সিলর এবং চণ্ডীগড়ের সাংসদ কিরণ খেরের ভোট পাবেন বিজেপি প্রার্থী। অন্যদিকে আপের ১০ এবং কংগ্রেসের ৭ কাউন্সিলরের পক্ষে ম্যাজিক ফিগার ১৯ ছোঁয়া কার্যত অসম্ভব। বিশ্লেষকদের মতে, এবার সুপ্রিম কোর্ট যদি আপের দাবি মেনে নতুন করে নির্বাচনের নির্দেশ দেয় তাহলেও বিজেপির জয় স্রেফ সময়ের অপেক্ষা।