সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উত্তরাখণ্ডে (Uttarakhand) বিষমদ খেয়ে মৃত্যু হল ৭ জনের। বিস্ফোরক অভিযোগ, স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রার্থী ওই মদ খাইয়েছিলেন গ্রামবাসীদের। তিনি প্রতিশ্রুতি দেন, তাঁকে ভোট দিলে মদ খাওয়াবেন। গ্রামাবাসীরা তাঁকে ভোট দিলে প্রতিশ্রুতি রাখেন ওই নেতা। তাতেই ঘটে যায় মর্মান্তিক ঘটনা। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত দু’ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এছাড়াও ৯ জন আধিকারিককে সাসপেন্ড করেছে আবাগারি দপ্তর।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনাটি হরিদ্বারের (Haridwar) ফুলগড় ও শিবগড় নামে দুই গ্রামের। স্থানীয়দের অভিযোগ, নির্বাচনের আগে ফুলগড় গ্রামের এক পঞ্চায়েত প্রার্থী গ্রামবাসীদের মদ খাওয়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ভোট দেওয়ার বদলে। গ্রামবাসীরা নেতাকে ভোট দিলে তিনি নিজের প্রতিশ্রুতি রাখেন। এরপরই ঢালাও মদ্যপানের ব্যবস্থা করেছিলেন তিনি। যার পরে একের পর এক গ্রামবাসী অসুস্থ হয়ে পড়েন। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বিষমদ খেয়ে মৃত্যু হয়েছে ৭ জনের। হাসপাতালে ভরতি রয়েছেন অনেকে। তাঁদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর বলেও জানা গিয়েছে।
[আরও পড়ুন: ‘জবাব চেয়েছিলাম, যুদ্ধ নয়’, রণে ভঙ্গ দিলেন শশী থারুর, কংগ্রেসের অশান্তি কাটার ইঙ্গিত]
উত্তরাখণ্ডের আবগারি কমিশনার হরি চান্দ সেমওয়াল জানিয়েছেন, এই ঘটনার পর কর্তব্যে অবহেলা ও গাফিলতির অভিযোগে আবগারি ইন্সপেক্টর-সহ মোট ৯ জন আধিকারিককে সাসপেন্ড করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, বিষমদ পান করার কারণেই মৃত্যু হয়েছে গ্রামবাসীদের। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পরই এই বিষয়ে নিশ্চিতভাবে কিছু বলা যাবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। ঘটনার তদন্তের বিষয়ে খোঁজ নিচ্ছেন খোদ উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তর।
এই বিষয়ে মুখ খুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি (Pushkar Singh Dhami)। তিনি বলেছেন, “দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। গাফিলতির অভিযোগে আমরা বেশ কয়েকজনকে সাসপেন্ড করেছি। উচ্চপর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যারা গোটা ঘটনার সঙ্গে যুক্ত তাদের কঠোর শাস্তি হবে।”
[আরও পড়ুন: নিয়মিত সরকারের সমালোচনায় সরব কাশ্মীরের সাংবাদিক, চাকরি গেল স্ত্রীর]
গত মাসেই বিষমদ পান করে মৃত্যু হয়েছে নীতীশ কুমারের (Nitish Kumar) বিহারে (Bihar)। মদ নিষিদ্ধ সেখানে। ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে বিহারে। অসুস্থ হন ১২ জন। বিহারের সারন জেলার এই মর্মান্তিক ঘটনায় দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছিলেন বেশ কয়েকজন। ঘটনায় ৫ জন মদের কারবারিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বরখাস্ত করা হয় স্থানীয় থানার পুলিশ আধিকারিককে।