সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সামনেই হোলি। সেই দিনই নরবলি দিলেই নাকি কেটে যাবে বিয়ের ফাঁড়া। এমন চিন্তাভাবনা থেকেই নয়ডার (Noida) ৭ বছরের শিশুকে অপহরণ (Kidnap) করেছিল ‘বিয়েপাগলা’ প্রতিবেশী যুবক। অবশেষে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করায় ভেস্তে গেল সব পরিকল্পনা। প্রাণ বাঁচল একরত্তির।
ঠিক কী হয়েছিল? ১৩ মার্চ থেকে নিখোঁজ ছিল নয়ডার ছিজারসি গ্রামের ছোট্ট মেয়েটি। মেয়েকে না পেয়ে বাড়ির লোক খোঁজাখুঁজি শুরু করলে তাঁদের সঙ্গে যোগ দেন প্রতিবেশীরা। কিন্তু কোনও সন্ধান মেলেনি। শেষ পর্যন্ত খবর যায় পুলিশের কাছে। শেষ পর্যন্ত পুলিশই গ্রেপ্তার করে দুষ্কৃতীদের। উদ্ধার হয় ছোট মেয়েটি।
ঘটনার সঙ্গে জড়িত আরও তিনজন এখনও পলাতক। তবে পুলিশের আশ্বাস, শিগগিরি গ্রেপ্তার করা হবে তাদেরও। সিসিটিভিতে প্রায় ২০০ জন সন্দেহভাজনকে চিহ্নিত করে তদন্ত শুরু করেছিল পুলিশ। সেখান থেকেই সন্ধান মেলে দুই অভিযুক্তর।
[আরও পড়ুন: পাচারের ছক বানচাল, হাওড়া স্টেশনে আটক প্রচুর বিরল সামুদ্রিক প্রাণী]
কিন্তু কেন হঠাৎ এমন পথ বেছে নিতে চাইল অভিযুক্ত সোনু বাল্মিকী। পুলিশের জেরায় সে এবং তার সহকারী নীতু সব কথাই জানিয়েছে। জানা যাচ্ছে, সোনু অবিবাহিত। কবে বিয়ে হবে তা জানতেই সে দ্বারস্থ হয়েছিল সত্যেন্দ্র নামের এক তান্ত্রিকের। সেই তান্ত্রিকই বলে, কোনও শিশুকে বলি দিলেই সোনুর বিয়ের বাধা কেটে যাবে।
এরপরই সোনু ও তার সঙ্গীরা মিলে প্রতিবেশী পরিবারের ৭ বছরের শিশুকন্যাকে অপহরণ করে। তাকে লুকিয়ে রাখা হয় সোনুর এক বোনের বাড়িতে। পুলিশ সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে তার বাবা-মায়ের কাছে ফিরিয়ে দিয়েছে। তবে এখনও অভিযুক্ত তান্ত্রিক ও আরও দু’জন সহযোগী এখনও পলাতক। তবে শিগগিরি তাদের গ্রেপ্তার করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই এত দ্রুত অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করে শিশুটিকে উদ্ধার করার জন্য তদন্তকারী পুলিশের দলটিকে ৫০ হাজার পুরস্কার দেওয়ার কথাও ঘোষণা করা হয়েছে।