সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সম্প্রতি জম্মু-কাশ্মীরের সোপিয়ানে গ্রেনেড বিস্ফোরণে (Grenade Blast) মৃত্যু হয় উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) বাসিন্দা দুই পরিযায়ী শ্রমিকের (Migrant Labour)। বুধবার একটি যৌথ অভিযানে ওই হামলায় জড়িত ‘হাইব্রিড’ জঙ্গিকে (Hybrid Terrorist) খতম করল কাশ্মীর পুলিশ ও আধা সামারিক বাহিনীর সদস্যরা। এর আগে ওই জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। উল্লেখ্য, ক’দিন আগে সোপিয়ানের যে এলাকায় এক কাশ্মীরি পণ্ডিতকে (Kashmiri Pandit) হত্যা করে সন্ত্রাসবাদীরা, সেখানেই এদিন জঙ্গি দমন অভিযান চালায় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা।
সোপিয়ানের নওগায় এদিন যৌথ অভিযান চালায় কাশ্মীর পুলিশ ও আধা সামারিক বাহিনীর জওয়ানরা। এক বিবৃতিতে কাশ্মীর পুলিশ জানিয়েছে, ক’দিন আগে এক জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের পরে একাধিক জায়গায় অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। বুধবার সোপিয়ানে তেমন একটি জঙ্গি দমন অভিযান চালানোর সময় গুলির লড়াই চলে। তখনই এক জঙ্গির গুলিতে মৃত্যু হয়েছে ইমরান বসির গনি নামের এক হাইব্রি়ড জঙ্গির। এ এলাকায় এদিন অভিযান চালায় যৌথ বাহিনী, সেখান থেকে প্রচুর অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করেছে নিরাপত্তা বাহিনী।
[আরও পড়ুন: ‘খলিস্তান জিন্দাবাদ’, পাঞ্জাবের সাংসদের সামনেই সমর্থকদের গলায় বিচ্ছিন্নতাবাদী স্লোগান]
একদিন আগে কাশ্মীরের যে জেলায় কাশ্মীরি পন্ডিত হত্যা হয়েছিল সেখানেই সোমবার সন্ত্রাসবাদীদের হামলার শিকার হন দুই পরিযায়ী শ্রমিক, যাঁরা উত্তরপ্রদেশ থেকে কাজ করতে এসেছিলেন সোপিয়ান জেলায়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছিল, সোমবার রাতে হামলা চালায় জঙ্গিরা। জঙ্গিদের ছোঁড়া গ্রেনেডের আঘাতে উত্তরপ্রদেশের কনৌজ থেকে আসা রাম সাগর এবং মণীশ কুমার নামে দুই পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যু হয়।
[আরও পড়ুন: থারুর নাকি খাড়গে, কার হাতে কংগ্রেসের ব্যাটন? জল্পনার অবসান আজ]
তখনই কাশ্মীর পুলিশ জানিয়েছিল, গ্রেনেড হামলাকারীদের ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। হামলাকারীররা জঙ্গি সংগঠন লস্কর-এ-তৈবার সদস্য। এই গ্রেনেড হামলাকারীদের ‘হাইব্রিড সন্ত্রাসবাদী’ বলে চিহ্নিত করে থাকে কাশ্মীর পুলিশ। এরা জঙ্গি কার্যকলাপ চালালেও ভিন্ন পরিচয়ে সাধারণ নাগরিকদের মধ্যে মিশে যায়। পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে সাধারণ জীবন যাপন করে থাকে।