সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটা ডেস্ক: মঙ্গলবার নূপুর শর্মার (Nupur Sharma) বক্তব্যের সমর্থনে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করায় পেশায় দরজি রাজস্থানের (Rajasthan) যুবক কানহাইয়া লালকে হত্যা করা হয়। যা নিয়ে এখনও উত্তেজনা অব্যাহত। এবার আরএসএসের মুখপত্র ‘অর্গানাইজার উইকলি’ (Organizer Weekly) দাবি করল, একই ধরনের হত্যাকাণ্ড ঘটেছে মহারাষ্ট্রে (Maharashtra)। বিজেপি নেত্রী নূপুর শর্মার সমর্থনে একটি পোস্ট শেয়ার করায় মহারাষ্ট্রের এক চিকিৎসাকর্মীর মুণ্ডচ্ছেদ করা হয়েছে। যদিও সেই ঘটনা বেশ কয়েকদিন আগের।
উদয়পুরের (Udaipur) ঘটনায় দেশজুড়ে নিন্দা হচ্ছে। একাধিক মুসলিম সংগঠন নিন্দা করেছে দরজি কানাহাইয়া লালের নৃশংস হত্যার। উত্তেজনা প্রশমনে তৎপর রাজস্থান সরকার। গতকালই দুই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তদন্তের দায়িত্ব নিয়েছে এনআইএ (NIA)। এর মধ্যে মহারাষ্ট্রের ঘটনা প্রকাশ্যে আসায় নতুন করে উত্তেজনা তৈরি হল বলাই বাহুল্য। অর্গানাইজার উইকলি টুইট করে জানিয়েছে, ঘটনাটি ঘটে গত ২১ জুলাই। কিছুদিন আগে চিকিৎসাকর্মী উমেশ খোলি নূপুর শর্মাকে সমর্থন করা একটি পোস্ট শেয়ার করেন। এরপরে ২১ জুলাই রাতে তাঁর মুণ্ডচ্ছেদ করা হয়। উমেশের ছবিও টুইট করে আরএসএস মুখপত্র।
[আরও পড়ুন: অসমের বিজেপি সরকারের পাশে শিণ্ডে অ্যান্ড কোং, বন্যাত্রাণে অনুদান দেবেন ৫১ লক্ষ টাকা]
আরএসএসের ইংরেজি ভাষার মুখপত্র অর্গানাইজার উইকলি আরও জানিয়েছে, হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত চার অভিযুক্ত আবদুল (২৪), শোয়েব খান (২২), মুদাস্সর আহমেদ শেখ ইব্রাহিম (২২) ও শাহরুখ পাঠান হিদায়েত খান (২৪)-কে ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
এদিকে উদয়পুরের ঘটনায় আইসিস (ISIS) যোগ থাকতে পারে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। হেফাজতে নেওয়া অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদ করে এই বিষয়ে নিশ্চিত হতে চাইছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে কাবুলের গুরুদ্বারে হামলার দায় স্বীকার করে বিস্ফোরক বয়ান দিয়েছিল জঙ্গি সংগঠন আইসিস (ISIS)। তারা জানিয়েছিল বিশ্বনবী হজরত মহম্মদের অপমানের বদলা নিতেই এই হামলা চালিয়েছিল তারা।
[আরও পড়ুন: কংগ্রেস এবং বিজেপির গোপন আঁতাঁত প্রকাশ্যে, মেঘালয়ে দাঁড়িয়ে বিস্ফোরক অভিষেক]
গতকালের ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন আজমের শরিফের (Ajmer Sharif) প্রধান আজমের দরগা দিওয়ান জয়নুল আবেদিন আলি খান। তাঁর বার্তা, ভারতের মুসলমানরা কখনওই তালিবানি মনোভাবকে সমর্থন করে না। বলেন, “কোনও ধর্মই মানুষের বিরুদ্ধে হিংসার কথা বলে না। বিশেষ করে ইসলাম ধর্মে সকল শিক্ষাই শান্তির উৎস হিসেবে কাজ করে।”