সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজৌরি সেনাঘাঁটির পর ফের কাশ্মীরে হানা জেহাদিদের। এবারে জঙ্গিদের গুলিতে প্রাণ গেল বিহারের এক পরিযায়ী শ্রমিকের। পুলিশ সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে বান্দিপোড়ায় (Bandipora) হানা দিয়ে ওই শ্রমিককে খুন করে জঙ্গিরা।
পুলিশ (Kashmir Police) সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে আচমকা বান্দিপোড়ার সোদানারার (Soadnara) সুম্বল এলাকায় হানা দেয় জঙ্গিরা। ওই এলাকায় আতঙ্ক ছড়ানোর উদ্দেশ্যে আচমকা গুলি চালায় জেহাদিরা। গুলির শব্দ পেয়ে মহম্মদ আমরেজ (Mohammad Amrej) নামের ওই পরিযায়ী শ্রমিক ঘরের বাইরে বেরোলে গুলি লাগে তাঁর। কাশ্মীর পুলিশ জানিয়েছে, আমরেজকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। জেহাদিদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে।
[আরও পড়ুন: নয়া পালক শশী থারুরের মুকুটে, লিজিয়ঁ দ্য অনার পাচ্ছেন কংগ্রেস সাংসদ]
এই নিয়ে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দ্বিতীয়বার কাশ্মীরে বড়সড় হামলা চালাল জেহাদিরা। এর আগে বৃহস্পতিবার রাজৌরি টাউন থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরে সেনাবাহিনীর (Indian Army) একটি ঘাঁটিতে আত্মঘাতী হামলা চালায় সন্ত্রাসবাদীরা। আচমকা সেনাশিবিরে ঢুকে প্রচণ্ড গুলিবর্ষণ শুরু করে জঙ্গিরা। পালটা জবাব দেন জওয়ানরা। সেনা সূত্রে খবর, বেশ কিছুক্ষণ ধরে চলা লড়াইয়ের পর শহিদ হন তিন জওয়ান। সেনার পালটা গুলিতে দুই আত্মঘাতী জঙ্গি নিহত হয়। সেনা সূত্রের খবর, সুবেদার রাজেন্দ্র প্রসাদ এবং মনোজ কুমার, লক্ষ্মণন ডি, নিশান্ত মালিক নামের তিন রাইফেলম্যান ওই হামলায় শহিদ হন।
[আরও পড়ুন: ‘খয়রাতির রাজনীতির শিকার দেশের অর্থনীতি’, নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি নিয়ে মন্তব্য সুপ্রিম কোর্টের]
তাৎপর্যপূর্ণভাবে, বুধবার উপত্যকায় ভয়াবহ জঙ্গি হামলার ছক বানচাল করে সেনাবাহিনী। পুলওয়ামায় (Pulwama) উদ্ধার করা হয় ৩০ কেজি ওজনের বিস্ফোরক। নিরাপত্তারক্ষীদের তৎপরতায় স্বাধীনতার দিবসের প্রাক্কালে অল্পের জন্য এড়ানো যায় ২০১৯ সালের ভয়াবহ জঙ্গি হামলার পুনরাবৃত্তি। কিন্তু পরপর দু’দিন জঙ্গি হামলায় উদ্বেগ ছড়িয়েছে নিরাপত্তা মহলে।