সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সহপাঠীদের সামনে দীর্ঘ সময় এক বস্ত্রে দাঁড়িয়ে থাকতে হল ১০ বছরের বালিকাকে। যেহেতু শিক্ষক তাকে ‘নোংরা’ পোশাক খুলতে বাধ্য করে। শিক্ষক ওই পোশাক কেচে ফেরত দেন। ততক্ষণ অর্ধনগ্ন অবস্থায় অপেক্ষা করতে হয় বালিকাকে। এমন ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে মধ্যপ্রদেশে (Madhya Pradesh)। ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই অভিযুক্ত শিক্ষককে সাসপেন্ড করেছে রাজ্যের আদিবাসী উন্নয়ন (Tribal Welfare Department) দপ্তর।
জানা গিয়েছে, ঘটনাটি মধ্যপ্রদেশের শাহদোল জেলার বারাকালা গ্রামের একটি স্কুলের। ঘটনার দিন পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী বালিকা নোংরা পোশাক পরে স্কুলে যায় বলে মনে হয় অভিযুক্ত শিক্ষক শ্রবণকুমার ত্রিপাঠীর। তিনি বালিকার জামা খোলান এবং তা নিজে কেচে দেন। এরপর সেই জামা শুকোতে দেওয়া হয়। সব মিলিয়ে প্রায় দু’ঘণ্টা শিক্ষক ও সহপাঠীদের সামনে এক কাপড়ে থাকতে হয় বালিকাকে।
[আরও পড়ুন: সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা নিয়ে আদালতে পালটা আবেদন বিলকিস বানোর ধর্ষকদের]
ঘটনার ছবি সোশ্যাল মাধ্যমে (Social Media) ছড়িয়ে পড়ে। এরপরেই নিন্দায় সরব হয় বিভিন্ন মহল। উল্লেখ্য ওই স্কুলটি রাজ্যের আদিবাসী উন্নয়ন দপ্তরের। শিক্ষক নিজেই বিভাগীয় হোয়াটসঅ্যাপ (WhatsApp) গ্রুপে ‘স্বচ্ছতা মিত্র’ শিরোনামে ওই ছবি দিয়েছিলেন। যা দেখে বেজায় ক্ষুব্ধ হন গ্রামবাসীরা। এর মধ্যেই ঘটনার কথা জানতে পারেন আদিবাসী কল্যাণ দপ্তরের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার আনন্দ রাই সিনহা। তিনি জানান, অভিযোগ পাওয়ার পর শনিবার ওই শিক্ষককে সাসপেন্ড করা হয়েছে। ঘটনার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
[আরও পড়ুন: উৎসবের মরশুমে ফের কাশ্মীর সীমান্তে নাশকতার ছক বানচাল, কুপওয়াড়ায় নিকেশ ২ জেহাদি]
উত্তর ভারতের একাধিক রাজ্যে সরকারি স্কুলের শিক্ষকদের বিরুদ্ধে নানারকম অভিযোগ উঠে থাকে। কিছুদিন আগে উত্তরপ্রদেশের একটি স্কুলে শিক্ষিকার নির্দেশে তাঁর গা-হাত টিপে দেয় খুদে পড়ুয়া। খুদে ছাত্রকে দিয়ে ম্যাসাজ করানোর সেই ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছিল নেটদুনিয়ায়। ঘটনায় নিন্দার ঝড় ওঠার পড়ে নড়েচড়ে বসেছিল রাজ্যের স্কুল শিক্ষা দপ্তর। ওই শিক্ষিকাকে বরখাস্ত করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।