সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভালবেসে বিয়ে অথচ পণের জন্য দিনের পর দিন গৃহবধূকে অত্যাচার করতেন স্বামী। শ্বশুরবাড়ির অন্যরাও চালাতেন শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন। শেষ পর্যন্ত চরম সিদ্ধান্ত নিলেন ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand) বাসিন্দা তরুণী। গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করলেন। যে ঘরে আত্মহত্যা করেন তার দেওয়াল জুড়ে সুইসাইড নোট (Suicide Note) লিখে গিয়েছেন ওই তরুণী। যার উপর ভিত্তি করে আটক করা হয়েছে অভিযুক্ত স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতা ২৬ বছরের চান্দা দেবী (Chanda Devi)। রাঁচি (Ranchi) থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরের ডাকরা গ্রামে চান্দার শ্বশুরবাড়ি। তিনি দুই সন্তানের মা। তরুণীর মৃত্যুতে অভিযুক্ত স্বামী দিলীপ চৌহান ও শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা। যদিও ২০১৯ সালে ভালবেসে দিলীপকে বিয়ে করেছিলে্ন চান্দা। কিন্তু অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই পণের দাবিতে চান্দার উপরে অত্যাচার শুরু করে দিলীপ। একই কারণে শ্বশুরবাড়ির অন্য সদস্যরাও অত্যাচার চালাতেন। তরুণীকে শারীরিক ও মানসিকভাবে হেনস্তা করা হত বলে অভিযোগ। মানসিকভাবে বিপর্যস্ত তরুণী বুধবার আত্মহত্যা করেন। মৃত্যুর আগে নিজের জীবনের কাহিনি যাবতীয় অভিযোগ লিপস্টিক দিয়ে ঘরের দেওয়াল লিখে যান।
[আরও পড়ুন: রেলে ফিরুক প্রবীণ নাগরিকদের জন্য ছাড়, সুপারিশ কেন্দ্রীয় কমিটির]
স্থানীয় পুলিশ আধিকারিক অনিমেষ নৈথানি (Animesh Naithani) বলেন, “ঘরের দেওয়ালে অভিযোগপত্র লিখে গিয়েছেন তরুণী। বাধ্য হয়ে চরম পথ বেছে নেন তিনি। এমনকী তাঁর মৃতদেহে স্বামী হাত দিতে পারবেন না বলেও লিখে গিয়েছেন। অভিযুক্তদের আটক করে তদন্ত শুরু হয়েছে।”
[আরও পড়ুন: কোভ্যাক্সিন, কোভিশিল্ডের পর এবার প্রিকশান ডোজে নেওয়া যাবে কোর্বেভ্যাক্সও, ছাড়পত্র কেন্দ্রের]
২০২২ সালেও পণের দাবিতে বধূ নির্যাতন অব্যাহত এদেশে। উত্তর-পূর্ব ভারত বাদ দিয়ে বাকি দেশেই এই ঘটনা ঘটে চলেছে। হাজার আইন-কানুনেও থামানো যাচ্ছে না অপরাধ প্রবণতা। গত মাসে এরাজ্যেই পণের টাকা দিতে না পারায় স্বামীর অত্যাচারে গর্ভস্থ সন্তানকে হারান এক গৃহবধূ। মর্মান্তিক ঘটনায় স্তম্ভিত হয় জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) ময়নাগুড়ি। মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে স্বামীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।