সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বছরের প্রথম দিন দিল্লিতে দুর্ঘটনায় তরুণীর মৃত্যুর ঘটনায় এবার বিজেপি যোগের অভিযোগ তুলল আম আদমি পার্টি। তাদের দাবি, এই ঘটনায় যে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তার মধ্যে একজন বিজেপি নেতা। তরুণীর সুবিচারের দাবি বিক্ষোভে নেমেছেন আপ নেতা-কর্মী থেকে স্থানীয়রাও।
রবিবার ভোরের দিকে সুলতানপুরীতে ঘটে এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা। স্কুটিতে করে যাচ্ছিলেন অঞ্জলি সিং নামের ২০ বছরের ওই তরুণী। সেই সময়ই স্কুটিটিতে সজোরে ধাক্কা মারে এক বেপরোয়া গাড়ি। গাড়ির নিচে আটকে যায় তরুণীর পা। সেই অবস্থাতেই তাঁকে টেনে হিঁচড়ে প্রায় চার কিলোমিটার গিয়ে যায় গাড়িটি। সুলতানপুরি থেকে কাঞ্ঝাওয়ালা পর্যন্ত ছ্যাঁচড়াতে ছ্যাঁচড়াতেই পৌঁছে যান তরুণী। তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এবার সেই ঘটনাতেই আম আদমি পার্টির মুখপাত্র সৌরভ ভরদ্বাজ অভিযোগ করেন, গ্রেপ্তার হওয়া পাঁচজনের মধ্যে অন্যতম মনোজ মিত্তাল আসলে একজন বিজেপি সদস্য। তাঁর অভিযোগ, লেফটেন্যান্ট গভর্নর বিনয় কুমার সাক্সেনা ও দিল্লি পুলিশের সিনিয়র আধিকারিক ইচ্ছাকৃতভাবে এই তথ্য ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছে।
[আরও পড়ুন: ওড়িশায় রহস্যমৃত্যু দুই রুশ নাগরিকের, রিপোর্ট তলব জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের]
গোটা ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালও। তিনি টুইট করেন, “কাঞ্ঝাওয়ালায় আমাদের বোনের সঙ্গে যা হয়েছে, তা অত্যন্ত লজ্জার। আশা করছি, অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হবে।” পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে প্রতিবাদে নেমেছেন আপের কর্মী-সদস্যরা।
অন্যদিকে, মেয়ের সুবিচার চেয়ে সুলতানপুরি থানার সামনে এদিন সকাল থেকেই বিক্ষোভে শামিল মৃতার পরিবার। স্থানীয়রাই দফায় দফায় বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। ফলে বিপুল যানজটের সৃষ্টি হয় রাজধানীতে। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, পাঁচ অভিযুক্তকে সোমবার দিল্লির এক আদালতে পেশ করা হলে তাদের তিনদিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারপতি। অভিযুক্তদের কাঞ্ঝাওয়ালায় পুলিশি হেফাজতে পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি তরুণীর ময়নাতদন্তের জন্য একটি আলাদা মেডিক্যাল টিমও গঠন করা হয়েছে। এদিকে, দিল্লির পুলিশ কমিশনারের কাছে তরুণীর মৃত্যুর ঘটনার বিস্তারিত রিপোর্ট চেয়ে পাঠালেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।