নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: ইভিএম ইস্যুতে এবার মুখ খুললেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। তাঁর সাফ কথা, ভোটযন্ত্রে কারচুপির প্রমাণ থাকলে সুপ্রিম কোর্টে বা নির্বাচন কমিশনে জমা দিন। প্রয়োজনে আন্দোলন গড়ে তুলুন। শুধুমাত্র বিবৃতি দিলে চলবে না। যদিও সাংসদের ব্যক্তিগত মতামত, ইভিএম সংক্রান্ত অভিযোগের কোনও সারবত্তা নেই। উল্লেখ্য, মহারাষ্ট্রে ভরাডুবির পর ইভিএমে কারচুপির অভিযোগ তুলেছে কংগ্রেস। যদিও তাদের সঙ্গে একমত হতে পারেনি ইন্ডিয়ার জোটের আরেক শরিক ন্যাশনাল কনফারেন্সের নেতা ওমর আবদুল্লাও। সেই তালিকায় নাম জুড়ল তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকেরও।
দিল্লিতে অভিষেক বলেছেন, "ইভিএম নিয়ে কারও কোনও অভিযোগ থাকলে প্রমাণ নিয়ে নির্বাচন কমিশনে যান। প্রতিনিধি দল পাঠিয়ে কারচুপির বিষয়টি তুলে ধরুন। আর কারচুপি প্রমাণ না করতে পারলে আন্দোলন গড়ে তুলুন। দু-চারটে বিবৃতি দিয়ে কোনও লাভ হবে না।" নাম না করে তিনি যে কংগ্রেসকে নিশানা করলেন, তা বলাই বাহুল্য। কারণ, মহারাষ্ট্রের বিধানসভা ভোটে মুখ থুবড়ে পড়ার পর থেকে ভোটযন্ত্রের গন্ডগোল নিয়ে সরব হয়েছে শতাব্দী প্রাচীন দলটিই। যদিও অভিযোগের স্বপক্ষে কোনও প্রমাণ দিতে পারেনি তারা। কিন্তু তৃণমূল সাংসদের দাবি, দীর্ঘদিন ধরে মাঠে নেমে নির্বাচনী প্রক্রিয়া পরিচালনা করেছেন তিনি। ইভিএমের কার্যপদ্ধতি হাতেকলমে শিখেছেন। সেই অভিজ্ঞতা থেকে অভিষেকের মত, ইভিএমে কারচুপি নিয়ে অভিযোগ ভিত্তিহীন।
এ প্রসঙ্গে বলে রাখা দরকার, ইভিএম ইস্যুতে ইন্ডিয়া জোটের অন্দরে ফাটলের ইঙ্গিত। অভিষেকের আগে জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা বলেছেন, “সংসদে যখন কংগ্রেসের শতাধিক সদস্য এই ইভিএমের মাধ্যমে জয়ী হয়ে আসছেন তখন আপনারা সেই জয়কে মান্যতা দিচ্ছেন। তাহলে মাত্র কয়েক মাসের ব্যবধানে কেন পালটি খেয়ে বলছেন এই ইভিএম আপনাদের পছন্দ নয়। সেটাও তখন যখন ভোটের ফল আপনাদের পছন্দ হচ্ছে না। ইভিএমকে এভাবে বলির পাঁঠা বানানো উচিত নয়। কংগ্রেসের উচিত নির্বাচনের ফলাফল মেনে নেওয়া এবং কান্নাকাটি বন্ধ করা। ভোটে জিতলে ইভিএম ভালো আর হারলে খারাপ, এটা ঠিক নয়।” কংগ্রেস অবশ্য বলছে, তারা একা নয়, সমাজবাদী পার্টি, এনসিপি ও শিব সেনা (উদ্ধব)-র মতো দলগুলিও ইভিএমের কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।