সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশজুড়ে লাগাতার ধর্ষণের ঘটনা রুখতে সরকার কী পদক্ষেপ নিচ্ছে? কেন্দ্রের মোদি সরকারের কাছে এই বিষয়ে জবাব তলব করল শীর্ষ আদালত। এক জনস্বার্থ মামলার প্রেক্ষিতে সোমবার কেন্দ্রকে এই ইস্যুতে নোটিশ পাঠায় বিচারপতি সূর্যকান্ত ও বিচারপতি উজ্জ্বল ভুঁইয়ার ডিভিশন বেঞ্চ।
দেশের মহিলা, শিশু ও তৃতীয় লিঙ্গের অধিকার সুরক্ষিত করতে সম্প্রতি শীর্ষ আদালতে এক জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়। যেখানে মহিলা ও শিশুদের উপর অত্যাচার রুখতে যাতে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা হয় তার পরামর্শ দেওয়া ওই পিটিশনে। আবেদনকারী এই প্রসঙ্গে দেশজুড়ে ঘটে চলা একের পর এক নারী নির্যাতনের ঘটনা তুলে ধরেন। যেখানে ২০১২ সালের ১৬ ডিসেম্বর দিল্লির গণধর্ষণের পাশাপাশি সম্প্রতি কলকাতায় 'অভয়া'র সঙ্গে ঘটা ভয়াবহতার কথা তুলে ধরা হয়েছে। এর পরই তিনি আরজি জানান, সরকার যাতে এই ঘটনা রুখতে কঠোর পদক্ষেপ নেয় তার নির্দেশ দেওয়া হয়।
এক্ষেত্রে মামলাকারীর আবেদন অবিলম্বে দেশে নিষিদ্ধ করা হোক পর্নগ্রাফি। নারী নির্যাতনকারীদের নির্বীজকরণ করা হোক। মহিলা, শিশু ও তৃতীয় লিঙ্গের মানুষের অধিকার নিশ্চিত করা হোক। 'পেরেন্টস পাত্রিয়া'র নির্দেশগুলি লাগু করা হোক। যেখানে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রই সকলের পিতা। এবং এই নীতিতে সকল নাগরিকের সুরক্ষা, সুরক্ষিত কর্মস্থল, সম্মানের সঙ্গে বাঁচা, সুরক্ষিত পরিবেশের অধিকার দেওয়া হয়। একইসঙ্গে মামলাকারীর আবেদন, ধর্ষকদের যেন যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও মৃত্যুদণ্ডের মতো কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা হয়।
এছাড়া দেশের সব গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় সিসিটিভি, কর্মস্থলে সিসিটিভি, অশ্লীল সামগ্রীতে নিষেধাজ্ঞা, অনলাইনে অভিযোগ জানানোর ক্ষেত্রে প্রচার, যৌন নির্যাতন সংক্রান্ত মামলার দ্রুত শুনানি, স্বচ্ছ শৌচালয়-সহ একাধিক ব্যবস্থার আরজি জানানো হয়। এই জনস্বার্থ মামলায় মামলাকারীর আবেদনের ভিত্তিতেই কেন্দ্রের কাছে শীর্ষ আদালতের তরফে জানতে চাওয়া হয় সরকার ধর্ষণ রুখতে ঠিক কী কী পদক্ষেপ নিয়েছে।