নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: বাংলাদেশে ইসকনের সন্ন্যাসী তথা সনাতন জাগরণ জোট সংগঠনের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা নিয়ে উত্তাল প্রতিবেশী দেশটি। তার রেশ স্বভাবতই আছড়ে পড়েছে এপারেও। ডঃ ইউনুসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে বাংলাদেশে ক্রমবর্ধমান সংখ্যালঘু হিন্দু নিপীড়নের ঘটনায় গর্জে উঠেছেন এপারের সনাতন হিন্দুরাও। এনিয়ে ঢাকা-নয়াদিল্লির মধ্যে চাপানউতোর শুরু হয়েছে। বুধবার দিল্লিতে সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে যোগ দিতে গিয়ে এনিয়ে সংক্ষিপ্ত প্রতিক্রিয়া দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, ''এটুকুই বলব, যা ঘটেছে, তা অত্যন্ত নিন্দনীয় ও দুর্ভাগ্যজনক।''
চিন্ময় প্রভুর গ্রেপ্তারি ও রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা, তার প্রতিবাদে পথে নামায় হিন্দুদের উপর অত্যাচারের অভিযোগ এবং সেখান থেকে এক আইনজীবীর মৃত্যু ঘিরে দিন দুই ধরে কার্যত অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশ। ইউনুস সরকার ও নয়াদিল্লির মধ্যে চিঠিচাপাটি শুরু হয়েছে। হাসিনা পরবর্তী প্রতিবেশী দেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তার যে এতখানি বেআব্রু দশা হবে, তা বোঝা যায়নি। কিন্তু চিন্ময় প্রভুর গ্রেপ্তারি এবং রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা হওয়ায় রাতারাতি পরিস্থিতি সাংঘাতিক হয়ে উঠেছে। এনিয়ে সরব সব মহল। বাংলার বিজেপি নেতৃত্ব বুধবার বাংলাদেশ ডেপুটি হাই কমিশনের অফিস ঘেরাওয়ের কর্মসূচি নিয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে শাসকদল তৃণমূল বরাবরই সচেতন ও সাবধানী প্রতিক্রিয়া দিয়ে এসেছে। বিষয়টি আন্তর্জাতিক হওয়ায় তৃণমূলের স্পষ্ট অবস্থান, কেন্দ্র সরকার প্রয়োজনীয় ও যথোপযুক্ত মনে করলে যে পদক্ষেপ নেবে, তাকে দলগতভাবে সমর্থন জানাবে। বুধবার দিল্লি গিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তা জানালেন। সেইসঙ্গে তাঁর নিজের সংক্ষিপ্ত প্রতিক্রিয়া, ''আমরা এ বিষয়ে বার বারই অবস্থান স্পষ্ট করেছি, আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে কেন্দ্র সরকার যে অবস্থান নেবে, দলগতভাবে তার পাশে থাকব। তবে আমি এটুকু বলতে পারি, যা ঘটেছে, অত্যন্ত নিন্দনীয় ও দুর্ভাগ্যজনক।''