সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আদানি শিল্পগোষ্ঠীর চেয়ারম্যান গৌতম আদানি, ভাইপো সাগর আদানি, সংস্থার অন্যতম কর্তা বিনীত জৈনের বিরুদ্ধে ঘুষ দেওয়ার অভিযোগ নেই। বুধবার বিবৃতি দিয়ে এমনটাই দাবি করল আদানি গোষ্ঠী। তারা আরও জানিয়েছে, কোনও বিদেশি দুর্নীতি সংক্রান্ত আইন (FCPA) লঙ্ঘন করেনি সংস্থা। আদানি গ্রিনের বক্তব্য, সংবাদমাধ্যমগুলি ভুল তথ্য প্রচার করেছে। তবে আমেরিকার ন্যায়বিচার দপ্তর আদানিদের বিরুদ্ধে অন্য তিনটি বিষয়ে অভিযুক্ত করেছে, সেকথাও জানানো হয়েছে।
গত বুধবার আদানি গোষ্ঠী সংক্রান্ত এক সংবাদে ভারত, আমেরিকা-সহ গোটা পৃথিবী বাণিজ্য ক্ষেত্রে হুলস্থুল পড়ে যায়। গৌতম, তাঁর ভাইপো সাগর এবং তাঁদের সহযোগীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনে আমেরিকার শেয়ার বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন এবং ন্যায়বিচার দপ্তর। ওই অভিযোগে বলা হয়, প্রায় ২,২৩৭ কোটি টাকা ঘুষ দিয়ে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে বাজারের থেকে বেশি দামে সৌরবিদ্যুৎ বিক্রির বরাত আদায় করেছিল আদানিরা। ওই প্রকল্প থেকে ২০ বছর ধরে প্রায় ১৬ হাজার ৯০০ কোটি টাকা মুনাফা করার পরিকল্পনা ছিল শিল্পগোষ্ঠীর।
প্রকল্পের জন্য আদানি গ্রিন সংস্থা ঋণপত্রের (বন্ড) মাধ্যমে লগ্নিকারীদের থেকে প্রায় ৬৩৩৮ কোটি টাকা তুলেছিল বলেও অভিযোগ। এর মধ্যে আমেরিকার লগ্নিকারীদের থেকে ১৭ কোটি ৫০ লক্ষ ডলার তোলা হয়েছিল বলেও দাবি করা হয়। আমেরিকার শেয়ার বাজার থেকে অর্থ সংগ্রহ করলে আদানি গোষ্ঠীকে সে দেশের সমস্ত আইন মেনে চলতে হবে। সেই কারণেই আমেরিকার শেয়ার বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন এবং ন্যায়বিচার দপ্তর ব্যবস্থা নেয় আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে। সংবাদমাধ্যম মারফত আদানিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ান জারির কথা জানা যায়। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছিল আদানিরা।
বুধবারের বিবৃতিতে আদানি গোষ্ঠী জানিয়ে দিল, তাদের বিরুদ্ধে ঘুষ দেওয়ার অভিযোগ ওঠেনি। মার্কিন নিয়ামক সংস্থার দাবি করেছিল, ঘুষ নিয়ে আলোচনা হয়, এই বিষয়ে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। চার্জশিটে কোথাও ঘুষ দেওয়ার উল্লেখ নেই। বিদেশি এবং ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলিতে বিপজ্জনক ভুল তথ্য পরিবেশন করা হয়েছে। তবে শেয়ার বাজারের নিরাপত্তাভঙ্গের ষড়যন্ত্র সংক্রান্ত অভিযোগ আনা হয়েছে শিল্পগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে, সেকথা স্বীকার করেছে আদানি গ্রিন।