সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জেলেই থাকতে হবে মাওবাদী কার্যকলাপে মদত দেওয়ায় অভিযোগে বিদ্ধ দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন অধ্যাপক জিএন সাইবাবাকে। বিতর্কিত ওই অধ্যাপকের জামিনের নির্দেশ খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট। শুক্রবারই তাঁকে জামিন দিয়েছিল মহারাষ্ট্র হাই কোর্ট (Maharastra High Court)।
মাওবাদীদের সঙ্গে আঁতাত রয়েছে। এই অভিযোগে ২০১৪ সালে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন অধ্যাপক জিএন সাইবাবাকে (GN Saibaba) গ্রেপ্তার করেছিল মহারাষ্ট্র পুলিশ (Maharastra Police)। জেএনইউয়ের পড়ুয়া হেম মিশ্র এবং সাংবাদিক প্রশান্ত রাহিকে ২০১৩ সালে মাওবাদী যোগের অভিযোগে গ্রেপ্তার করে মহারাষ্ট্র পুলিশ। সেই সূত্র ধরেই তার পরের বছর দিল্লি থেকে গ্রেপ্তার করা হয় দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের (Delhi University) রামলাল আনন্দ কলেজের অধ্যাপক সাইবাবাকে। মহারাষ্ট্র পুলিশের দাবি ছিল, দীর্ঘ দিন ধরেই মাওবাদী কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত ওই অধ্যাপক।
[আরও পড়ুন: বন্ধ হচ্ছে কার্টুন নেটওয়ার্ক! কী জানাল চ্যানেল কর্তৃপক্ষ?]
পরবর্তীকালে নিম্ন আদালত তাঁকে যাবজ্জীবন জেলের সাজা দেয়। আট বছর পর সাইবাবাকে শুক্রবার বম্বে হাই কোর্টের নাগপুর বেঞ্চ ‘মাওবাদী’ আঁতাতের অভিযোগ থেকে মুক্তি দিয়েছে। তবে এই রায়ের কয়েক ঘণ্টা পরই সাইবাবার কারামুক্তিতে স্থগিতাদেশ চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) দ্বারস্থ হয়। সেই আবেদনের ভিত্তিতে বিচারপতি এম আর শাহ এবং বেলা ত্রিবেদীর ডিভিশন বেঞ্চ এদিন জানিয়ে দিল, বিতর্কিত ওই অধ্যাপক এখনই মুক্তি পাবেন না।
[আরও পড়ুন: ‘আমাদের তিন স্ত্রী থাকলেও সবাইকে সম্মান করি, কিন্তু হিন্দুরা…’, মিম নেতার মন্তব্যে তুঙ্গে বিতর্ক]
অবসরপ্রাপ্ত সাইবাবা এখন শারীরিক ভাবে চলচ্ছক্তিহীন। হুইল-চেয়ার তাঁর চলাফেরার মাধ্যম। তাঁর শারীরিক প্রতিবন্ধকতাকে হাতিয়ার করেই শীর্ষ আদালতে সওয়াল করেন আইনজীবীরা। আইনজীবীদের মাধ্যমে সাইবাবা জানান, তিনি এখন ৯০ শতাংশ প্রতিবন্ধী। হাঁটাচলার ক্ষমতা পর্যন্ত নেই। তাই তাঁকে গৃহবন্দি করা হোক। কিন্তু শীর্ষ আদালত সেই আবেদনও খারিজ করে দিয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট সাফ জানিয়ে দিয়েছে, প্রতিবন্ধী ওই অধ্যাপক গুরুতর অপরাধে অভিযুক্ত। তাই তাঁকে জেলেই থাকতে হবে। আগামী ৮ ডিসেম্বর মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে। আগে নিজের অবস্থান জানানোর জন্য বিতর্কিত ওই অধ্যাপককে চিঠি পাঠিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।