shono
Advertisement

বিক্ষোভের জেরে বন্ধ স্বপ্নের বন্দরের কাজ, কেন্দ্রীয় বাহিনী চাইছেন আদানি

বাহিনী নিয়ে রাজ্য ও কেন্দ্র সরকারের মত জানতে চেয়েছে কেরল হাই কোর্ট।
Posted: 07:29 PM Dec 03, 2022Updated: 07:29 PM Dec 03, 2022

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভিজিঞ্জম বন্দরে বিক্ষোভকারীদের দমন করতে চায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা। এই দাবিতে কেরল হাই কোর্টের দ্বারস্থ হল গৌতম আদানির সংস্থা। সমস্যা শুরু হয়েছিল ৩ মাস আগে। বিক্ষোভের জেরে গৌতম আদানির (Gautam Adani)স্বপ্নের ভিজিঞ্জম মেগা পোর্ট প্রকল্পের নির্মাণকাজ থমকে গিয়েছিল তখন থেকেই। সেই বিক্ষোভ ক্রমশ বেড়েই চলেছে। পরিস্থিতি এমনই যে বিক্ষোভ দমন করতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দ্বারস্থ হতে হল।

Advertisement

কেরল হাই কোর্টে বন্দরের জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনী (Central force) চেয়ে আবেদন করেছে আদানির সংস্থা। তাঁদের আবেদনের ভিত্তিতে কেরল হাই কোর্ট রাজ্য সরকার এবং কেন্দ্র সরকারের মতামত জানতে চেয়েছে। আগামী ৭ ডিসেম্বরের মধ্যে দুই শিবিরকেই এ নিয়ে মতামত জানাতে বলা হয়েছে। কেরলের বাম সরকার অবশ্য আদালতকে জানিয়েছে বন্দরে বিক্ষোভকারীদের একটা বড় অংশের বিরুদ্ধে রাজ্য সরকার ব্যবস্থা নিয়েছে। অনেকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। তবে আদানিদের দাবি, এখনও অনেকেই বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন।

[আরও পড়ুন: পাখির চোখ চব্বিশের লোকসভা নির্বাচন, আগামী সপ্তাহে জরুরি বৈঠকে মোদি-শাহরা]

উল্লেখ্য, এই প্রকল্পটি আদানির স্বপ্নের প্রকল্প। এটাই হতে চলেছে দেশের প্রথম কন্টেনার ট্রান্সশিপমেন্ট পোর্ট। কিন্তু সেই স্বপ্নের পথে বাধা তৈরি করেছে স্থানীয় একটি মৎস্যজীবী সংগঠন। গত আগস্ট থেকেই এখানে দাঁড়িয়ে রয়েছে ১২০০ বর্গ ফুটের এক শেল্টার, যার ছাদ লোহার তৈরি। সেখানে ঝুলছে ব্যানার। জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, অনির্দিষ্ট কালের জন্য দিনরাতের প্রতিবাদ চালিয়ে যাবেন আন্দোলনকারীরা। ছাদের তলায় রয়েছে প্রায় ১০০ প্লাস্টিক চেয়ার। যদিও সব সময় তা পুরোপুরি ভরে থাকে না। কিন্তু তবুও প্রতিবাদ চলছে নাগাড়েই।

[আরও পড়ুন: পুলিশের নির্মমতায় ট্রেনের চাকায় পা খোয়ালেন সবজি বিক্রেতা! বিতর্ক যোগীরাজ্যে]

এদিকে রাস্তাতে বসে থাকতে দেখা যাচ্ছে বন্দরের সমর্থকদের। তাঁধের মধ্যে রয়েছেন বিজেপি (BJP) সমর্থকরা। পাশাপাশি অন্যান্য হিন্দুত্ববাদী দলের সদস্যরাও। যদিও দু’তরফেই সংখ্যাটা কম, তবুও যে কোনও মুহূর্তেই পরিস্থিতি হাতে বাইরে যেতে পারে, এই আশঙ্কায় আগেই থেকেই এখানে মজুত রয়েছে পুলিশ বাহিনীও। প্রায় শ’তিনেক পুলিশ কর্মীদের মোতায়েন রাখা হয়েছে। জানা গিয়েছে, পুলিশ পুরো পরিস্থিতির দিকেই নজর রেখে চলেছে। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি থমথমে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement