সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নিউ ইয়র্ক ভিত্তিক শর্টসেলার সংস্থা হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের রিপোর্টে আদানি সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্তে সুপ্রিম কোর্ট নিযুক্ত কমিটিতেও স্বার্থের দ্বন্দ্ব রয়েছে, স্বার্থের সংঘাত রয়েছে বলে জানিয়ে, কমিটি পুনর্গঠনের জন্য শীর্ষ আদালতে একটি আবেদন জমা পড়েছে। গত ফেব্রুয়ারি মাসে শিল্পপতি গৌতম আদানির সংস্থার বিরুদ্ধে শেয়ার বাজারে কারচুপির অভিযোগ তুলেছিল হিন্ডেনবার্গ (Hindenburg Research)। যা নিয়ে শিল্প ও রাজনৈতিক মহলে প্রচণ্ড হইচই হয়।
এরপর ২ মার্চ শেয়ার বাজারের নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা খতিয়ে দেখা এবং প্রয়োজনীয় সংস্কার সাধনের উদ্দেশ্যে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) বিশেষজ্ঞ কমিটি তৈরি করে। স্থির হয় অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এএম সাপ্রের নেতৃত্বে শিল্পপতি ওমপ্রকাশ ভাট, বিচারপতি জেপি দেবদত্ত, প্রবীণ ব্যাঙ্ক কর্তা কেভি কামাথ, ইনফোসিসের সহ-প্রতিষ্ঠাতা নন্দন নিলেকানি এবং আইনজীবী সোমাশেখর সুন্দরেসানের কমিটি শেয়ার বাজারের নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা খতিয়ে দেখবেন। কিন্তু অনামিকা জয়সওয়াল বলে এক আবেদনকারী শীর্ষ আদালতে জানিয়েছেন, কমিটির তিন জন সদস্যের ‘স্বার্থের সংঘাত’রয়েছে।
[আরও পড়ুন: বামেরা গোটা বিশ্বের সর্বনাশ ডেকে এনেছে! তোপ ভাগবতের]
আবেদনকারীর মতে, গ্রিনকো গোষ্ঠীর চেয়ারম্যান ওপি ভাট গৌতম আদানির (Gautam Adani) সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেন। কমিটির সদস্য কে ভি কামাথ একটি ব্যাঙ্ক জালিয়াতির মামলার মুখোমুখি হতে চলেছেন এবং সোমাশেখর বিভিন্ন ফোরামে আদানির পক্ষে হাজির হয়েছিলেন। সে কারণে, বর্তমান কমিটি দেশের জনগণের মধ্যে আস্থা তৈরি করতে ব্যর্থ হবে। ওই আবেদনকারী অর্থ, আইন এবং শেয়ার বাজারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রগুলির সদস্যদের সমন্বয়ে একটি নতুন বিশেষজ্ঞ প্যানেল গঠন করার জন্য শীর্ষ আদালতের কাছে আবেদন জানিয়েছে। ১৩ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্টে এই আবেদনের শুনানি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এছাড়া, আবেদনকারী অনামিকা জয়সওয়ালের দায়ের করা হলফনামায় বলা হয়েছে, “আদানি গোষ্ঠীর তদন্তে সেবি-র আপাত স্বার্থের দ্বন্দ্ব রয়েছে কারণ একজন কর্মচারী, সিরিল শ্রফের মেয়ে, আদানি গ্রুপের চেয়ারপার্সন গৌতম আদানির ছেলে করণ আদানিকে বিয়ে করেছেন।”