shono
Advertisement

ষোলো বছর পর বেতন বাড়ল ৬০ টাকা! অস্থায়ী শিক্ষকদের ক্ষোভের মুখে মহারাষ্ট্র সরকার

ঘণ্টা হিসেবে কাজ করেন মহারাষ্ট্রের প্যারা টিচাররা।
Posted: 10:55 AM Nov 24, 2022Updated: 10:55 AM Nov 24, 2022

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ১৬ বছর পর বেতন বাড়ল (Salary Increase) মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) অস্থায়ী স্কুল শিক্ষকদের। ঘণ্টা হিসেবে তাঁদের বেতন দেওয়া হয়ে থাকে। দীর্ঘ প্রায় দু’দশক ঘণ্টায় ৬০ টাকা বেতন পেয়ে আসছিলেন দশম শ্রেণি অবধি স্কুলগুলির শিক্ষকরা। এবার তা বেড়ে হল ১২০ টাকা। অন্য দিকে দ্বাদশ শ্রেণির অবধি স্কুলুগুলির অস্থায়ী শিক্ষকদের বেতন বেড়ে হয়েছে ঘণ্টায় ১৫০ টাকা। প্যারা টিচারদের (Para Teachers) দীর্ঘদিনের দাবির পর মহারাষ্ট্র সরকারের সাম্প্রতিক বেতন বৃদ্ধিতে অখুশি ওই শিক্ষকরা। তাঁরা জানান, শিক্ষকদের কাজের মূল্য ও বাজারে মূল্যবৃদ্ধির কথা চিন্তা করে বেতন বাড়ানো হয়নি। তাঁরা বঞ্চিত হয়েছেন।

Advertisement

সোমবার অস্থায়ী শিক্ষকদের বেতন বৃদ্ধির কথা ঘোষণা করেছে মহারাষ্ট্রের শিণ্ডে-সেনা সরকার। বেতন ৬০ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ১২০ টাকা ও ১৫০ টাকা। একথা জানার পরে ক্ষোভে ফেটে পড়েন প্যারা টিচাররা। ঘণ্টা হিসেবে কাজ করা এক অস্থায়ী স্প্রুতি দেশপাণ্ডে বলেন, স্কুলে শিক্ষকদের অনেক বেশি পরিশ্রম করতে হয়। সেই অনুঠযায়ী বেতন বেড়ে যা হল, তাও ভীষণ কম। বর্তমান মূল্যবৃদ্ধির বাজারে এই আয়ে জীবন যাপন করা কঠিন।

[আরও পড়ুন: যোগীরাজ্যে শ্রদ্ধা হত্যাকাণ্ডের ছায়া, খুনের পর স্ত্রীকে কেটে টুকরো করল স্বামী, দেহাংশ ফেলল জঙ্গলে]

সাম্প্রতিক বৃদ্ধি নিয়ে সরকারকে সমালোচনার সুরে মুখ খুলেছেন এনসিপি-র শিক্ষক সেলের প্রেসিডেন্ট অবিনাস টাকাওয়ালে। তিনি বলেন, অস্থায়ী শিক্ষকদের বেতন বাড়ানোর দাবি দীর্ঘদিনের। ২০০৬ সালের পর ২০২২-এ বেতন বাড়ানো হল। আজকের জীবন ধারনে যে টাকা লাগা, স্কুলে যাতায়াতের একটা খরচ আছে। এর ফলে উন্নক জীবন যাপন করতে সক্ষম হচ্ছেন না শিক্ষকরা। এই মানুষগুলোই কিন্তু ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে তৈরি করার দায়িত্বে রয়েছে।

[আরও পড়ুন: ‘গুজরাট দাঙ্গায় লাভ একমাত্র মোদির’, বললেন রক্তাক্ত সংঘর্ষের মুখ অশোক পারমার]

এদিকে রাজ্যে শিক্ষক দুর্নীতি নিয়ে টালামাটাল পরিস্থিতি অব্যাহত। এসএসসিতে সুপার নিউমেরারি পোস্ট বা অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরি করে নিয়োগের জন্য, স্কুল সার্ভিস কমিশনের (SSC) আনা আবেদনের মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly)। শুধু তাই নয়, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার মধ্যে জবাবদিহির জন্য রাজ্যের শিক্ষা সচিব মণীষ জৈনকে তলব করেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। কিন্তু শিক্ষাসচিবের হাজিরার সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চে গেল রাজ্য। বুধবার রাতেই ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন করা হয় রাজ্যের তরফে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement