সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ক্লাসে বকুনি দিয়েছিলেন প্রিন্সিপাল (Principal)। ‘বদলা’ নিতে স্কুলের বাইরে বন্দুক হাতে তাঁকে তাড়া করল দশম শ্রেণির ছাত্র। শরীরে ফুঁড়ে দিল তিনটি বুলেট। কিন্তু যেহেতু অনভ্যস্ত হাত, তাই শেষ পর্যন্ত জখম হলেও প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন ওই প্রিন্সিপাল। এমনই অনভিপ্রেত এক ঘটনার সাক্ষী হল উত্তরপ্রদেশ (Uttar Pradesh)।
ঠিক কী হয়েছিল? যোগীরাজ্যের সীতাপুরে শনিবার ওই ঘটনা ঘটে আদর্শ রামস্বরূপ ইন্টার কলেজ নামের এক স্কুলে। আগের দিন শুক্রবার প্রিন্সিপাল রাম সিংবর্মা ধমক দিয়েছিলেন ছাত্র গুরিন্দর সিংকে। এক সহপাঠীর সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করার জন্যই তাঁকে বকুনি দিয়েছিলেন ওই শিক্ষক। কিন্তু ভাবতেই পারেননি এর পরিণাম কেমন হতে চলেছে।
[আরও পড়ুন: দুর্গাপুজোর উদ্বোধনে নয়, অষ্টমীতে কলকাতায় আসতে পারেন অমিত শাহ]
সীতাপুরের পুলিশ কর্তা সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম পিটিআইকে জানিয়েছেন, শনিবার সিসিটিভি ক্যামেরায় দেখা গিয়েছে গুরিন্দর স্কুলের বাইরে তাড়া করেছিল রামস্বরূপকে। তারপর তিন বার তাঁর মাথা ও বুক লক্ষ্য করে গুলি চালায় সে। ব্যাগে করে লুকিয়ে ওই বন্দুক গুরিন্দর নিয়ে এসেছিল বলেই জানা গিয়েছে।
ওই শিক্ষকের মাথা ও তলপেটে গুলি লেগেছিল বলে জানা গিয়েছে। তিনবার গুলি চালানোর পর ফের বন্দুকটি রিলোড করতে চেয়েছিল অভিযুক্ত। কিন্তু তার আগেই অন্য কর্মীরা সেখানে হাজির হলে পালিয়ে যায় গুরিন্দর। রামস্বরূপকে প্রথমে স্থানীয় চিকিৎসাকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। তারপর সেখান থেকে সীতাপুরের জেলা হাসপাতালে ভরতি করা হয়। পরে লখনউয়ের ট্রমা সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। তাঁর শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গিয়েছে।
তবে এখনও ধরা পড়েনি ওই অভিযুক্ত। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। আশা, শিগগিরি তাকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হবে। সহপাঠীর সঙ্গে বসা নিয়ে বচসার ঘটনায় প্রিন্সিপালের ধমক থেকে এমন ঘটনা কী করে ঘটতে পারে ভেবে পাচ্ছে না অন্য সহপাঠীরা ও স্কুলের কর্মীরাও।