সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সরকারি চাকরির পদ ১৮৬টি। যেখানে আবেদনকারির সংখ্যা ছিল আড়াই লক্ষ। নিয়োগ সম্পন্ন হওয়ার পর দেখা গেল এই চাকরিতে ঢুকেছে বেনোজন। অভিযোগ, ১৮৬টি পদের মধ্যে ২০ শতাংশ পদে নিয়োগ করা হয়েছে বিজেপির নেতা-মন্ত্রী ও উচ্চপদস্ত আমলার আত্মীয়দের। এই ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিল এলাহাবাদ হাই কোর্ট।
বছর তিনেক আগে উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা ও বিধান পরিষদে কর্মী নিয়োগের পরীক্ষা হয়। ১৮৬টি পদে যথা সময়ে পরীক্ষা ও নিয়োগ সম্পন্ন হয়। এর পরই অভিযোগ ওঠে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে এই নিয়োগ প্রক্রিয়ায়। যাঁদের নিয়োগ করা হয়েছে তার মধ্যে পাঁচ জনের একজন নেতা বা আমলার আত্মীয়। চাকরিপ্রার্থীরা এই ইস্যুতে আদালতে মামলা দায়ের করেন এলাহাবাদ হাই কোর্টে। অভিযোগ তোলা হয়, এমন অনেককে চাকরি দেওয়া হয়েছে যাঁদের ওই পদে বসার যোগ্যতাই নেই। শুধু মাত্র বিজেপি নেতা-মন্ত্রীর সুপারিশে চাকরি হয়েছে তাঁদের।
ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর আদালতে রাজ্য সরকারের তরফে জানানো হয়, যে দুর্নীতির অভিযোগ উঠছে সরকারি এজেন্সি এর তদন্ত শুরু করেছে। যদিও রাজ্যের তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তোলার পাশাপাশি এই ঘটনাকে ভয়ংকর দুর্নীতি বলে চিহ্নিত করে আদালত। এবং স্পষ্টভাবে নির্দেশ দেওয়া হয়, এই চাকরি দুর্নীতি মামলার তদন্ত করবে সিবিআই।
গোটা ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন তুলতে শুরু করে উত্তরপ্রদেশের বিরোধী শিবির। অভিযোগ উঠছে, বিজেপি সরকারের আমলে রাজ্যের যুব সমাজের বেহাল অবস্থাটা আরও একবার স্পষ্ট হয়ে উঠল। পাশাপাশি স্পষ্ট হল বিজেপির নির্লজ্জতা। যোগ্যদের বঞ্চিত করে বেছে বেছে বিজেপি নেতার আত্মীয়দের চাকরি দেওয়া হচ্ছে এই সরকার আর কত নিচে নামবে?