সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শশী থারুরের পর মনীশ তিওয়ারি। সংসদে পহেলগাঁও সন্ত্রাস এবং অপারেশন সিঁদুর নিয়ে বিতর্কে কংগ্রেস যখন মোদি সরকারকে কোণঠাসা করতে চাইছে সেই সময় দলের আভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব যেন শতাব্দীপ্রাচীন দলটিকেই সমস্যায় ফেলে দিচ্ছে। লোকসভায় আলোচনায় বক্তাদের তালিকায় শশীর না থাকার কারণ হিসেবে জানা যাচ্ছে, তিনি পার্টিলাইন মেনে বক্তব্য রাখতে রাজি হননি। তাই তাঁকে বক্তা হিসেবে ভাবা হয়নি। এই নিয়ে বিতর্কের মধ্যে মনীশের পোস্ট ঘিরে ছড়াল জল্পনা। বলে রাখা ভালো শশী ও মনীশ, দু'জনেই পহেলগাঁও হামলা ও অপারেশন সিঁদুর নিয়ে ভারত সরকারের বক্তব্য সকলের সামনে তুলে ধরতে বিশ্বের নানা দেশে যে প্রতিনিধি দল পাঠানো হয়েছিল তার সদস্য ছিলেন।
ঠিক কী পোস্ট করেছেন মনীশ? তিনি একটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনের স্ক্রিনশট শেয়ার করেছেন। সেখানে কেন তাঁদের কংগ্রেস বক্তা তালিকায় রাখেনি সেই বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে। আর এর সঙ্গেই 'পুরব অর পশ্চিম' ছবির একটি জনপ্রিয় গানের লাইনও লেখেন। তাঁকে লিখতে দেখা যায়, 'হ্যায় প্রীত জাঁহা কি রিত সদা, ম্যায় গীত ওয়াহান কি গাতা হুঁ, ভারত কা রহেনে ওয়ালা হুঁ, ভারত কি বাত সুনাতা হুঁ। জয় হিন্দ!'
সোমবার থেকে শুরু হওয়া অপারেশন সিঁদুর বিতর্কে কংগ্রেসের বক্তা তালিকা ঘিরে আলোচনা শুরু হয়ে যায়। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, শশী জানিয়েছিলেন, তিনি ওই অপারেশনকে সমর্থন করেন। কাজেই এখন দলীয় বার্তা মেনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এর উলটো কথা বলতে পারবেন না। কয়েকদিন আগেই তিনি জানিয়েছিলেন, তাঁর কাছে দেশই সবথেকে আগে। এবার মনীশও সেই সুরেই যেন সুর মেলালেন। তবে সরাসরি কিছু তিনি বলেননি। কিন্তু তাঁর পোস্টেই যে তিনি শশীর মতোই বক্তব্য রাখলেন তা স্পষ্ট বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
প্রসঙ্গত, কংগ্রেসের এই অন্তর্দ্বন্দ্ব যে দলীয় হাই কমান্ডকে অস্বস্তিতে রাখছে তা নিশ্চিত। কয়েক দিনে বেসুরো হয়েছিলেন খোদ দলের সর্বভারতীয় সভাপতি কর্নাটকে মুখ্যমন্ত্রী পদ নিয়ে ডামাডোলের মাঝেই নিজের অতীত রাজনৈতিক জীবনের ক্ষোভ, দুঃখ, হতাশা ফুটে উঠেছিল তাঁর গলায়। এবার শশী-মনীশের মতো দুই সিনিয়র নেতার অবস্থান যে কংগ্রেসকে আরও চিন্তায় রাখবে তা পরিষ্কার।
