সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের ভূমিকম্প (Earthquake) দিল্লিতে (Delhi)। শনিবার রাতে ঘড়ির কাঁটা তখন ৮টার ঘর ছুঁই ছুঁই, তখনই কম্পন অনুভূতি হয় রাজধানীতে। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৫.৪। গতবারের মতোই এবারও ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল নেপাল (Nepal) বলে জানা গিয়েছে। কম্পন অনুভূত হয়েছে নয়ডা, গুরুগ্রামেও। ভয়ে ঘর ছেড়ে রাস্তায় এসে দাঁড়ান বাসিন্দারা। তবে বড়সড় ক্ষতি কিংবা হতাহতের খবর নেই।
দিল্লি ছাড়াও শনিবার রাতের কম্পন অনুভূত হয়েছে উত্তরাখণ্ড (Uttarakhand), হরিয়ানা (Haryana) ও উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) বড় অংশে। নেপালের ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ মন্ত্রক জানিয়েছে, বাজহাং জেলার পাতাদেওয়ালে রাত ৮ বেজে ১২ মিনিটে কম্পন অনুভূত হয়। তখন ভারতীয় সময় ৭ বেজে ৫৭ মিনিট। প্রকৃত উৎসস্থল ছিল ভূপৃষ্ঠের ১০ কিলোমিটার গভীরে। উল্লেখ্য, তিন দিনে এই নিয়ে দ্বিতীয়বার কেঁপে উঠল দিল্লি।
[আরও পড়ুন: ইস্তফা গ্রাহ্য নয়, শীতকালীন অধিবেশনে রাজ্যসভায় বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গেই ]
৯ নভেম্বরে ভোর রাতে ভূমিকম্প হয়েছিল রাজধানীতে। সেবার রিখটর স্কেলে মাত্রা ছিল ৬.৪। আগের বারও কম্পনের কেন্দ্রস্থল ছিল নেপাল। এবারের মতোই ভূপৃষ্ঠ থেকে ১০ কিলোমিটার গভীরে ছিল কেন্দ্র। আগের ভূমিকম্পে প্রতিবেশী দেশে ৬ জন মারা গিয়েছিলেন। আহত হয়েছিলেন ৮ জন। এবারে ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কিছু জানা যায়নি। তবে কম্পনের মাত্র কম হওয়ায় ক্ষতির আশঙ্কাও কম মনে করা হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: প্রথা ভেঙে এবার দেরিতে বসছে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন, কটাক্ষ বিরোধীদের]
প্রসঙ্গত, বড়সড় প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের আশঙ্কায় কাঁটা বিজ্ঞানীরা। ভূমিকম্পের (Earthquake) ভয়ে থরহরিকম্প হিমালয় পার্বত্য অঞ্চল। কম্পনের মাত্রা হতে পারে রিখটার স্কেলে ৭ বা তার বেশি। ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা বিপুল। কিন্তু তা রুখে দেওয়াও সম্ভব একটু সতর্ক হলে। বিজ্ঞানীদের সতর্কবাণী, এখন থেকে প্রস্তুতি নিলে হিমালয় (Himalaya Region) পার্বত্য অঞ্চলের ক্ষতি কমানো সম্ভব, এমনকী ৯৯.৯৯ শতাংশ ক্ষতি রোখা যাবে।