সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লোকসভায় (Lok Sabha Elections 2024) যেভাবেই হোক ৪০০ আসন পেতে হবে। সেজন্য প্রয়োজনে অন্য দলের সাংসদদের ভাঙাও। শুধু তাই নয়, অন্যান্য দলের যে সব সম্ভাব্য প্রার্থীর জয়ের সম্ভাবনা আছে, সেসব নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাঁদেরও দলে টানার চেষ্টা করো। নয়া রণকৌশল নিয়ে নামছে বিজেপি। অন্য দলের সাংসদ এবং সম্ভাব্য প্রার্থীদের দলে টানার লক্ষ্যে আলাদা কমিটি গড়ে ফেলেছে গেরুয়া শিবির।
ওই কমিটির শীর্ষপদে বসানো হয়েছে বিনোদ তাইদেকে। যোগদান কমিটির কাজ সম্পর্কে এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানিয়েছেন,”এই কমিটি অন্য দলের প্রভাবশালী নেতাদের দলে টানার চেষ্টা করবে। তাঁদের যোগ দেওয়ানোটা অবশ্য নির্ভর করবে এলাকায় তাঁদের প্রভাব কেমন সেটার উপর।” তবে সব কেন্দ্রে নয়, যে সব কেন্দ্রে বিজেপি দুর্বল, দলের প্রার্থীর জেতার সম্ভাবনা কম, সেই কেন্দ্রগুলিতেই মূলত বিরোধী প্রার্থীদের টার্গেট করা হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: খাস কলকাতার রাস্তায় মদ্যপের তাণ্ডব, ভ্যানচালককে ধাক্কার পর গাড়ির উপর নাচ যুবকের!]
২০১৪ সালে বিজেপি কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসার পর থেকে ভারতীয় রাজনীতিতে দলবদলের নতুন ধারা শুরু হয়েছে। প্রায় প্রতিটি রাজ্যেই বিরোধী দলের বড় নেতাদের যোগদান করিয়েছে বিজেপি। মধ্যপ্রদেশ, কর্নাটক, গোয়া, মণিপুরের (Manipur) মতো রাজ্যে রাতারাতি সরকার বদলের মতো ঘটনাও ঘটে গিয়েছে। এই মুহূর্তে দেশের অধিকাংশ রাজ্যেই বিজেপির প্রদেশ নেতৃত্বের একটা বড় অংশ দলবদলু।
[আরও পড়ুন: রামমন্দিরে বসল ১২ ফুট লম্বা সোনার দরজা, ঝলমলে কারুকাজে মুগ্ধ হবেন ভক্তরা]
এই দলবদলুদের সুবাদেই বিজেপি এই মুহূর্তে দেশের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দল। আবার অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে দলবদলুদের বাড়বাড়ন্তের জন্য নিজেদের মূল আদর্শ থেকে সরে যাচ্ছে গেরুয়া শিবির। তাই এবার দলে যোগদান করানোর জন্য রীতিমতো কমিটি গড়া হচ্ছে। মূলত ১৬০ আসনে ওই কমিটি কাজ করবে।