সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্ট অসাংবিধানিক ঘোষণার পরই তিন তালাক বিলে সায় দেয় কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভা। বিল পেশ করা হয়েছিল সংসদের উভয় কক্ষে। ফলে আইনে পরিণত হতে চলেছিল এই বিল। যার ফলে তিন তালাক দেওয়া অপরাধ হিসেবে পরিগণিত হয়। কিন্তু এবার তারই বিরোধিতা করল অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল’ বোর্ড। রবিবার জরুরিভিত্তিতে বৈঠকে বসেন সংগঠনের সদস্যরা। তারপরই এই বিল প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়।
[ ভগবানও ঠান্ডায় কাঁপছেন! হিটার বসল অযোধ্যার মন্দিরে ]
তিন তালাক বিল সংসদের উভয়কক্ষে পেশ হওয়ার পর থেকেই এ নিয়ে অসন্তোষ বাড়ছিল। মুসলিম সম্প্রদায়ের একাংশের অভিযোগ ছিল, এই বিল নিয়ে আসা মানেই সরাসরি শরিয়তি আইনে হস্তক্ষেপ। যদি মুসলিম জনজাতির জীবনের মান উন্নয়ন নিয়েই এই বিল আনতে হয়, তাহলে মুসলিমদের সঙ্গে এ নিয়ে আলোচনা করা উচিত ছিল। অন্য আর এক পক্ষের অভিযোগ ছিল, এ নিয়ে রাজনীতি করছে শাসকসদল বিজেপি। হিন্দুদের সন্তুষ্ট করতেই তড়িঘড়ি বিল প্রণয়ন করা হয়। এ নিয়েই এদিন জরুরি বৈঠকে বসেন অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল’ বোর্ডের সদস্যরা। বৈঠক শেষে সংগঠনের তরফে সাজ্জাদ নোমানি জানান, ‘এই বিল তৈরির সময় কোনওরকম প্রক্রিয়া মানা হয়নি। সংশ্লিষ্ট কারও সঙ্গে আলোচনাও করা হয়নি।’ সংগঠনের প্রেসিডেন্ট এ কথা প্রধানমন্ত্রীকে জানাবেন। এই বিল স্থগিত ও প্রত্যাহারের দাবিও জানানো হয়েছে সংগঠনের তরফে।
কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ সংসদে এই বিল আনেন। যেখানে মুখে বলা, হোয়্যাটসঅ্যাপ বা অন্য কোনও মাধ্যমে দেওয়া তাৎক্ষণিক তিন তালাক আইনত নিষিদ্ধ। অপরাধীর তিন বছর সাজা ও মোটা অঙ্কের জরিমানারও প্রস্তাব ছিল বিলে। ইতিমধ্যেই একাধিক রাজ্য এ বিলকে সমর্থন জানিয়েছে। দুই কক্ষে পাশ হলেই তা আইনে পরিণত হবে। ফলে দীর্ঘ লড়াইয়ের শেষে বিচার পেতে পারতেন মুসলিম মহিলারা। তবে বিলের খসড়া সামনে আসার পর থেকেই এ নিয়ে বিরোধিতা করছেন মৌলবিরা। শরিয়তি আইনে হস্তক্ষেপের অভিযোগ উঠেছে। মৌলবিদের দাবি, তিন তালাক রদ করতে হলে মৌলবিদের সঙ্গে আলোচনা করেই বিলের স্বরূপ ঠিক করা উচিত ছিল। কিন্তু মুসলিম বিদ্বেষের কারণেই বিজেপি সে পথ মাড়ায়নি বলে অভিযোগ উঠেছিল। এবার সরাসরি বিরোধিতার পথেই হাঁটল মুসলিম পার্সোনাল ল’ বোর্ড।
[ ধুমল জমানা অতীত, হিমাচলের নয়া মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন জয়রাম ঠাকুর ]
The post তিন তালাক বিল প্রত্যাহারের দাবি মুসলিম সংগঠনের appeared first on Sangbad Pratidin.