সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনার (Corona Pandemic) দ্বিতীয় ধাক্কায় অনাথ হয়েছে বহু শিশু। মা-বাবা-অভিভাবকদের হারিয়ে পথে-পথে দিন কাটছে তাদের। অনিশ্চিত তাদের ভবিষ্যতও। শনিবার সেই সমস্ত শিশুদের দায়িত্ব নেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) সরকার। টুইট করেন খোদ প্রধানমন্ত্রী। তবে এই নিয়েই এবার কেন্দ্রকে তীব্র কটাক্ষ করলেন ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর (Prashant Kishor)। অনাথ শিশুদের সাহায্যের দরকার এখন। অথচ তাদের ১৮ বছর বয়স হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। দিশেহারা অনাথ শিশুরা প্রধানমন্ত্রীর এই প্রতিশ্রুতি নিয়েই বাঁচুক।
শনিবার টুইটে প্রধানমন্ত্রী কী লিখেছিলেন, “অজস্র শিশু করোনার কারণে নিজের বাবা-মাকে হারিয়েছে। সরকার এদের খেয়াল রাখবে। এরা যাতে সুস্থ এবং সুন্দর জীবন অতিবাহিত করতে পারে, তা নিশ্চিত করবে। পিএম কেয়ার্স ফান্ড থেকে এদের শিক্ষা এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সাহায্যও করা হবে।” অনাথ শিশুদের পাশে দাঁড়াতে মোদি সরকারের নয়া এই সিদ্ধান্তকে খোঁচা দিয়েই রবিবার পরপর দুটি টুইট করেন প্রশান্ত কিশোর। প্রধানমন্ত্রীর টুইটটি রিটুইট করে সেখানে লেখেন, “সরকার ব্যর্থতা এবং করোনার জন্য যে শিশুরা নিজেদের মা-বাবাকে হারিয়েছে তাঁদের প্রতি সহমর্মিতা দেখানোটা মোদি সরকারের নিজস্ব মাস্টারস্ট্রোক। ওই অনাথ শিশুদের এখনই সাহায্যের দরকার। কিন্তু তারা এখনই সেটা পাবে না। বদলে তাদের অপেক্ষা করতে হবে ১৮ বছর বয়স হওয়া পর্যন্ত। ততদিন প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাসের উপরেই ভরসা রাখতে হবে তাদের।”
[আরও পড়ুন: মহামারীর সময় কোয়ারেন্টাইনে বিরোধীরা! মোদি সরকারের সপ্তম বর্ষপূর্তিতে তোপ নাড্ডার]
পরবর্তী আরেকটি টুইটে পিকে লেখেন, “বিনামূল্যে শিক্ষার অধিকার সংবিধানেই রয়েছে। কিন্তু এই শিশুদের মোদির প্রতি কৃতজ্ঞ হওয়া উচিত আরও একবার সেই একই প্রতিশ্রুতি দেওয়ার জন্য।” এর পাশাপাশি আয়ুস্মান ভারত প্রকল্প নিয়েও টুইটে খোঁচা দেন তিনি। লেখেন, “আয়ুষ্মাণ ভারত প্রকল্পে এই শিশুদের স্বাস্থ্যবিমা নিশ্চিত করা হয়েছে। অথচ আয়ুষ্মাণ ভারত প্রকল্পে ইতিমধ্যেই ৫০ কোটি দেশবাসীর স্বাস্থ্যবিমার দায়িত্ব নেওয়া হয়েছে বলে দাবি। অথচ প্রয়োজনের সময় এই প্রকল্পে হাসপাতালের শয্যা বা অক্সিজেন কিছুই পাওয়া যায়নি।”