সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কর্ণাটকের হিজাব বিতর্কের (Hijab Controversy) আঁচ এবার পৌঁছাল আগ্রার তাজমহল (Tajmahal) চত্বরে। বুধবার একদল হিন্দুত্ববাদী স্কুল-কলেজে হিজাব-সহ ধর্মীয় পোশাক পরার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখালো তাজমহলের পার্কিং জোনে। ঘটনায় প্রবল চাঞ্চল্য তৈরি হয় এদিন। পুলিশের বাধা ডিঙিয়ে বিক্ষোভকারীরা তাজমহলের ভিতরে ঢোকারও চেষ্টা করে। তাদের আবদার, সমাধি সৌধের ভিতরে ঢুকে হনুমান চালিশা পাঠ করবে তারা, যদিও নিরাপত্তারক্ষীদের তৎপরতায় সেই ইচ্ছে পূরণ হয়নি হিন্দুত্ববাদী বিক্ষোভকারীদের।
এদিন বিশ্বহিন্দু পরিষদ-সহ (Vishva Hindu Parishad) বেশ কয়েকটি হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের সদস্যরা বিক্ষোভ দেখায় তাজমহল চত্বরে। তারা দাবি করে, স্কুল-কলেজে ধর্মীয় পোশাক নিষিদ্ধ করতে হবে। যারা হিজাব পরা নিয়ে অশান্তি ছড়াচ্ছে তাদের কড়া শাস্তি দিতে হবে। বিক্ষোভকারীরা তাজ চত্বরের শিল্পগ্রামে পার্কিং এলাকায় ঢোকার চেষ্টা করলে তাদের বাধা দেয় সেখানে উপস্থিত পুলিশ কর্মীরা। শেষ পর্যন্ত ঘটনাস্থলে উপস্থিত পুলিশ আধিকারিকের হাতে স্মারকলিপি জমা দেয় হিন্দুত্ববাদীরা।
[আরও পড়ুন: সব প্রজন্মের কাছেই তাঁর গান সুপারহিট, বাপি লাহিড়ীর প্রয়াণে শোকপ্রকাশ মোদি-মমতার]
সার্কেল অফিসার রাজীব কুমার বলেন, “বিক্ষোভকারীরা হিজাব বিতর্ক নিয়ে একটি স্মারকলিপি দিয়েছেন, আমরা তা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছে দেবো।”
বুধবারের বিক্ষোভ প্রসঙ্গে বিশ্বহিন্দু পরিষদের ব্রজ অঞ্চলের সহ-সভাপতি আশিস আর্য বলেন, “আমরা আগেই ঘোষণা করেছিলাম, তাজমহলের ভিতরে ঢুকে হনুমান চালিশা পাঠ করব। তাজমহল আসলে তেজো মহালয় (শিবের মন্দির)। গেরুয়া উত্তরীয় পরে ভিতরে ঢুকতে চেয়েছিলাম আমরা। কিন্তু পুলিশ ভিতরে ঢুকতে দেয়নি।” আশিস আর্য অভিযোগ করেন, নির্বাচনী আবহাওয়ায় ভোট ভাগাভাগি করতেই অহেতুক হিজাব বিতর্ক ছড়ানো হচ্ছে দেশে। এক্ষেত্রে কোনও সম্প্রদায়ের বক্তব্যকে মান্যতা দেওয়া উচিত নয়। দেশে সংবিধানই শেষ কথা বলবে।
[আরও পড়ুন: পথ দুর্ঘটনায় মৃত লালকেল্লা হিংসা মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত দীপ সিধু]
তাজমহলে ঢুকে হনুমান চালিশা পাঠ করার সাধ না মিটলেও হিন্দুত্ববাদী বিক্ষোভকারীরা পরে হরিপর্বত থানায় ঢুকে হনুমান চালিশা পাঠ করে।
এদিকে চরম বিতর্কের মধ্যেই সোমবার স্কুল খুলেছে কর্ণাটকে। যার পর একাধিক স্কুলে হিজাব পরিহিত পড়ুয়াদের ঢুকতে না দেওয়াকে কেন্দ্র করে নতুন বিতর্ক শুরু হয়েছে। এরইমধ্যে আজ থেকে কর্ণাটকে প্রি-ইউনিভার্সিটি ও ডিগ্রি কলেজগুলি খুলছে। রাজ্যে শান্তি বজায় রাখতে উডুপি-সহ উত্তেজনাপ্রবণ এলাকাগুলিতে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।