সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২০১৮ সালে ব্যাভিচার সংক্রান্ত আইনকে ‘অসাংবিধানিক’ আখ্যা দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। তৎকালীন প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্র এই ‘ঐতিহাসিক’ রায় দেন। সেই সময়ই কেন্দ্র শীর্ষ আদালতের কাছে এই বিষয়ে স্পষ্ট ব্যাখ্যার আরজি জানিয়েছিল। কেন্দ্রের মূল প্রশ্ন ছিল, ওই রায় কি সেনাবাহিনীর উপরে লাগু হবে, কেননা সেনার নিজস্ব আইনে ব্যাভিচারকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়। অবশেষে সুপ্রিম কোর্ট পরিষ্কার করে দিল, ২০১৮ সালে সুপ্রিম কোর্টের রায় সেনার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়।
বিচারপতি কেএম জোসেফের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ মঙ্গলবার এই বিষয়ে তাদের বক্তব্য জানিয়েছে। ওই বেঞ্চে এছাড়া যাঁরা ছিলেন, তাঁরা হলেন বিচারপতি অজয় রাস্তোগি, বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু, বিচারপতি হৃষিকেশ রায় ও বিচারপতি সি টি রবিকুমার। বেঞ্চ পরিষ্কার জানিয়েছে, ব্যাভিচার নিয়ে ২০১৮ সালের রায়ে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৯৭ ধারা এবং ফৌজদারি আইনের ১৯৮(২) ধারায় ফোকাস করা হয়েছিল। সেনাবাহিনীর আইন নিয়ে চর্চার কোনও সুযোগ সেই সময় ছিল না। তাছাড়া শীর্ষ আদালত ব্যাভিচারকে কোনও ভাবেই সমর্থন করেনি।
[আরও পড়ুন: শেয়ারে বিপুল ধসের ধাক্কা, বিশ্বের ধনীর তালিকায় প্রথম ১০ থেকে ছিটকে গেলেন গৌতম আদানি]
আদালত এও মেনে নেয়, এই সময়ে দাঁড়িয়ে ব্যাভিচার একটা সমস্যা। এমনকী, এটাও মেনে নেওয়া হয়েছিল, ব্যাভিচারও বিয়ে ভাঙার একটি কারণ। সেই সময়ই সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দেয়, ব্যাভিচার আইনে সেনা আধিকারিকদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে পারবে সেনাবাহিনী।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর প্রতিরক্ষা মন্ত্রক শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল। সেই সময়ই জানতে চাওয়া হয়েছিল, ব্যাভিচার আইন ‘অসাংবিধানিক’ আখ্যা দিলে যে সেনা অফিসাররা এই ধরনের কাজের সঙ্গে যুক্ত তাঁরা প্রশ্রয় পাবেন। এবং এর ফলে সেনাবাহিনীতেই একটা ভারসাম্যহীনতার পরিস্থিতি তৈরি হবে। অবশেষে এই বিষয়ে তাদের বক্তব্য পরিষ্কার জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট।