shono
Advertisement
LAC

থাবা বাড়াচ্ছে 'ড্রাগন', প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় 'চৈনিক চাল' ভেস্তে দিতে বড় পদক্ষেপ সেনার

এলএসিতে ভারতের অবস্থান আরও শক্তিশালী হয়ে উঠবে।
Published By: Amit Kumar DasPosted: 06:37 PM Jul 21, 2025Updated: 06:37 PM Jul 21, 2025

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় (LAC) চিনা আগ্রাসন রুখে দিতে কোমর বাধছে ভারত। কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ লাদাখের দেপসাং ও দৌলত বেগ ওল্ডি (ডিবিও)কে জুড়তে বিকল্প সড়ক তৈরি করছে সেনাবাহিনী। আগামী বছরের মধ্যে প্রস্তুত হয়ে যাবে গুরুত্বপূর্ণ এই সড়ক। যার ফলে ডিবিও সেক্টরে পৌঁছনো যাবে দুটি রাস্তা দিয়ে। এই পদক্ষেপের ফলে এলএসিতে ভারতের অবস্থান আরও শক্তিশালী হয়ে উঠবে।

Advertisement

সেনা সূত্রে জানা যাচ্ছে, বর্তমানে এই দুই অঞ্চলকে যুক্ত করতে যে সড়ক রয়েছে তা দারবুক-শ্যোক হয়ে যায় বিডিও পর্যন্ত। বিকল্প যে রাস্তা তৈরি হচ্ছে সেটি সাসোমা-সাসের লা- সাসের ব্রাংসা-গাপশান হয়ে পৌঁছবে বিডিওতে। জানা যাচ্ছে, শীতকালে সাসের লা অঞ্চলে ভারী তুষারপাত হয়, ফলে ১৩০ কিমি দীর্ঘ এই রাস্তা ব্যবহার করা যাবে গ্রীষ্মে। ইতিমধ্যেই সাসের ব্রাংসা পর্যন্ত সড়ক নির্মাণের কাজ সম্পন্ন হয়ে গিয়েছে। আগামী বছরের অক্টোবর-নভেম্বর মাসের মধ্যে পুরো সড়ক প্রস্তুত হয়ে যাবে। দীর্ঘ এই রাস্তায় রয়েছে ৯টি সেতু। বর্তমানে যেগুলির ধারন ক্ষমতা ৪০ টন। সেটিকে বাড়িয়ে ৭০ টন করা হচ্ছে। ফলে অতি সহজে সেনার ভারী ট্যাঙ্ক ও সামরিক সরঞ্জাম এখান থেকে নিয়ে যাওয়া যাবে।

শুধু তাই নয়, নতুন এই রাস্তা নির্মাণ হয়ে গেলে লেহ থেকে ডিবিও-এর দূরত্ব ৭৯ কিলোমিটার কমে যাবে। আগে যেখানে লেহ থেকে ডিবিও যেতে সময় লাগত ২ দিন সেটাই কমে হবে মাত্র ১১ থেকে ১২ ঘণ্টা। এই রাস্তা নির্মাণের ফলে চিনের নজরদারি এড়িয়ে ওই অঞ্চলে সেনা মোতায়েন করতে পারবে ভারত। পাশাপাশি সীমান্তে প্রয়োজনীয় রসদ পরিবহণও সহজ হবে। এই পথে সাসের লা অঞ্চলে থাকবে একটি ৮ কিলোমিটার দীর্ঘ টানেল। এই সড়ক নির্মাণের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সেনাকেই। প্রকল্পের আনুমানিক বাজেট ৫০০ কোটি টাকা। ১৭,০০০ ফুটেরও বেশি উচ্চতায় এই সড়ক নির্মাণ চ্যালেঞ্জিং হলেও কাজ চলছে জোরকদমে।

উল্লেখ্য, গালওয়ান সংঘাত পেরিয়ে আলোচনার মাধ্যমে সীমান্ত সমস্যা কিছুটা স্থিতিশীল হলেও, চিনকে বিশ্বাস নেই। অরুণাচল থেকে শুরু করে লাদাখ পর্যন্ত চিনা আগ্রাসন বরাবর চিন্তার বিষয় ভারতের জন্য। লাদাখের একাধিক অঞ্চলকে নিজেদের বলে দাবি করে চিন। ফলে আপাতভাবে সংঘাত মিটলেও পরিস্থিতি যদি কোনও সময় খারাপ আকার নেয় সে কথা মাথায় রেখেই প্রস্তুত ভারত। গত চার বছরে ভারত লাদাখ ও তার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে পরিকাঠামোগত উন্নয়ন শুরু করেছে কেন্দ্র। উন্নতমানের রাস্তা, টানেল এবং সেতু নির্মাণ শুরু হয়েছে। পূর্ব লাদাখের মুধি-নোওমা অঞ্চলে নির্মিত হচ্ছে ভারতের সর্বোচ্চ বায়ুসেনা ঘাঁটি। আগামী অক্টোবর মাসের মধ্যেই বিমান চলাচলের জন্য পুরোদমে প্রস্তুত হয়ে যাবে এই ঘাঁটি। যা দেশের নিরাপত্তা তো বটেই আপতকালীন পরিস্থিতিতে যোগাযোগের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে এই বায়ুসেনা ঘাঁটি।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় (LAC) চিনা আগ্রাসন রুখে দিতে কোমর বাধছে ভারত।
  • কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ লাদাখের দেপসাং ও দৌলত বেগ ওল্ডি (ডিবিও)কে জুড়তে বিকল্প সড়ক তৈরি করছে সেনাবাহিনী।
  • আগামী বছরের মধ্যে প্রস্তুত হয়ে যাবে গুরুত্বপূর্ণ এই সড়ক।
Advertisement