সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পাকিস্তানের (Pakistan) কাছে ভারতের সেনাবাহিনীর গোপন নথি পাচার (Spying) করার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হল এক সেনাকর্মীকে। এক সবজি বিক্রেতার মাধ্যমে ওই নথি পাচার করছিল সে। গত মঙ্গলবার গ্রেপ্তার করা হয়েছিল হবিবুর রহমান নামের সবজি বিক্রেতাকে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করতেই জানা যায়, তাকে নথি জোগান দিয়েছিল পরমজিৎ নামের সেনাকর্মীটি (Armyman)। পাকিস্তানের ISI-এর কাছে ওই গোপন নথি পৌঁছে দেওয়ার কথা ছিল অভিযুক্ত হবিবুরের। কিন্তু তার আগেই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। বৃহস্পতিবার দিল্লি পুলিশ এমনটাই জানিয়েছে।
পুলিশের কাছে গোপন সূত্রে খবর ছিল পোখরান (Pokhran) আর্মি বেস ক্যাম থকে নথি পাচারের চেষ্টা হচ্ছে। পাচারকারী ৩৪ বছরের হবিবুর। এরপরই আর দেরি করেনি দিল্লি পুলিশ। পত্রপাঠ মঙ্গলবার গ্রেপ্তার করা হয় তাকে। তার কাছ থেকে অনেকগুলি গোপন নথি পাওয়া যায়। এরপর শুরু হয় জিজ্ঞাসাবাদ। আর তখনই উঠে আসে পরমজিতের নাম। এর আগে পরমজিৎ পোখরানে পোস্টেড ছিল। বর্তমানে সে আগ্রা ক্যান্টনমেন্টে রয়েছে। পোখরানে থাকার সময়ই তার সঙ্গে হবিবুরের আলাপ হয়। আর সেই সূত্রেই তৈরি হয় আঁতাত।
[আরও পড়ুন: ‘রাষ্ট্রদ্রোহ আইন ঔপনিবেশিক, এখন এর প্রয়োজনীয়তা কী?’, কেন্দ্রকে প্রশ্ন সুপ্রিম কোর্টের]
কিন্তু কী করে আইএসআইয়ের সঙ্গে যোগাযোগ হল হবিবুরের? জানা গিয়েছে, ওই সবজি বিক্রেতার কয়েকজন আত্মীয় পাকিস্তানের সিন্ধে থাকেন। সেই সূত্রেই আগে একবার পাকিস্তানে গিয়েছিল হবিবুর। সেখানেই গুপ্তচর বৃত্তির ফাঁদে পা দেয় সে। হাওলা চ্যানেলের মাধ্যমে টাকা পেত হবিবুর। বিনিময়ে গোপন নথি তুলে দিত পাকিস্তানের গোয়েন্দাদের হাতে।
পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। আশা করা হচ্ছে, দ্রুত এ সম্পর্কে আরও বিস্তারিত তথ্য হাতে আসবে।
তদন্তকারী দলের এক পুলিশ অফিসার জানিয়েছেন, রহমান ও পরমজিৎ উভয়ই বেআইনি কার্যকলাপে যুক্ত ছিল। বেশ কয়েকটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট এই অপরাধের জন্য ব্যবহৃত হত বলেও জানতে পেরেছে পুলিশ।