সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অরবিন্দ কেজরিওয়ালের (Arvind Kejriwal) সাহায্যেই দিল্লি থেকে পালিয়েছিলেন হেমন্ত সোরেন (Hemant Soren)! চাঞ্চল্যকর দাবি করল বিজেপি। বিহারের বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে। ইডির তলব পাওয়ার পরে প্রায় দেড়দিন কার্যত নিখোঁজ ছিলেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী। মঙ্গলবার দুপুরে রাঁচিতে নিজের বাসভবনে ফেরেন তিনি। বুধবার সেখানেই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে গিয়েছেন ইডি আধিকারিকরা।
আর্থিক তছরুপের অভিযোগে ইডির সমন পাওয়ার পরেই গত রবিবার ঝাড়খণ্ড ছেড়ে দিল্লিতে (Delhi) চলে গিয়েছিলেন হেমন্ত। সোমবার তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে দিল্লির বাসভবনেই হাজির হন ইডি আধিকারিকরা। কিন্তু বাড়িতে গিয়েও হেমন্তের খোঁজ মেলেনি। তল্লাশি, জিজ্ঞাসাবাদ করেও শিবু সোরেনের পুত্রকে খুঁজে পাননি ইডি আধিকারিকরা। এই খবর প্রকাশ্যে আসার পরেই বিজেপি (BJP) প্রচার শুরু করে, রাতের অন্ধকারে মুখ ঢেকে পালিয়ে গিয়েছেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী।
[আরও পড়ুন: নতুন সংসদ ভবনে প্রথম সম্ভাষণ, রাষ্ট্রপতি মুর্মুর মুখে রামমন্দির থেকে তিন তালাক]
হেমন্ত আর কেজরিকে ‘চোরে চোরে মাসতুতো ভাই’ বলে আরও খোঁচা দিয়েছেন নিশিকান্ত দুবে। বিহারের বিজেপি সাংসদ বলেন, রাতের অন্ধকারে হেমন্তকে দিল্লি ছেড়ে পালাতে সাহায্য করেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। বারাণসী পর্যন্ত যাওয়ার ব্যবস্থা করে দেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। সেখান থেকে সড়কপথে হেমন্তের রাঁচি ফেরার ব্যবস্থা করেন ঝাড়খণ্ডের মন্ত্রী মিথিলেশ কুমার। যদিও এই অভিযোগ নিয়ে মুখ খোলেননি কেজরিওয়াল।
তবে রাঁচিতে ফিরেই হেমন্ত সাফ জানিয়েছিলেন, দশমবার সমন পেয়ে সেটা এড়াবেন না তিনি। নিজের বাড়িতেই ইডি আধিকারিকদের জেরার মুখোমুখি হবেন। সেই মতোই বুধবার বেলা একটা নাগাদ তাঁর বাড়িতে পৌঁছে গিয়েছেন ইডি আধিকারিকরা।