সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অসম-মিজোরাম সীমানা নিয়ে যখন ক্রমশ জটিলতা বাড়ছে, তখনই বড়সড় স্বস্তির খবর মিলল অসম-নাগাল্যান্ড সীমানা থেকে। দীর্ঘদিনের বিবাদের অবসান ঘটিয়ে এই অসম-নাগাল্যান্ড (Nagaland) সীমানা থেকে পুলিশ প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নিল দুই রাজ্যই।
উত্তরপূর্ব ভারতের অন্য রাজ্যগুলির মতো অসম ও নাগাল্যান্ডের ৫১২ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমানা নিয়েও বহু বছর ধরে বিবাদ চলছে। এ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টেও মামলা চলছে। অবশেষে সেই বিবাদের মধ্যে শান্তিস্থাপনের উদ্যোগ নিল দুই রাজ্যই। অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা (Himanta Biswa Sarma) শনিবার জানিয়েছেন, “শান্তি স্থাপনের লক্ষ্যে ঐতিহাসিক পদক্ষেপ। অসম-নাগাল্যান্ড সীমানা থেকে সেনা প্রত্যাহারে রাজি হয়েছে দুই রাজ্যই।” গতকাল ভারচুয়াল বৈঠকে দুই রাজ্যের সচিবালয়ের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। জানা গিয়েছে, যাবতীয় অস্ত্রশস্ত্র এবং পরিকাঠামো-সহ সীমানা থেকে দু’পক্ষই পুলিশ প্রত্যাহার করবে। জনখানা নালা এবং পার্বত্য এলাকার জঙ্গলে নজরদারি টাওয়ার বসাতে পারবে অসম বন দপ্তর। তাছাড়া, সীমানায় নাগাল্যান্ডের বাসিন্দারা যে ঝুপড়িগুলি তৈরি করেছে, তা ভেঙে দেওয়া হবে। দুই রাজ্যই নিজেদের সীমানায় নজরদারি চালাবে। তবে সেটা ড্রোনের মাধ্যমে। কেউই সশস্ত্র পুলিশ মোতায়েন করবে না।
[আরও পড়ুন: BJP ছেড়েই ‘শ্রীমান’ দিলীপকে তোপ বাবুলের, ফেসবুকে শানালেন আক্রমণ]
অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা এই শান্তিস্থাপনের প্রক্রিয়ার জন্য নাগাল্যান্ড সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। এবং এই পদক্ষেপের পুরো কৃতিত্ব দিয়েছেন নাগাল্যান্ডের মুখ্যমন্ত্রী নেউফিউ রিওকে (Neiphiu Rio)। তবে, নাগাল্যান্ড সীমানার সমস্যা মিটলেও মিজো সীমানা নিয়ে বিবাদ অব্যাহত। বিগত কয়েকমাস ধরেই সীমানা নিয়ে বিবাদ চলছে অসম ও মিজোরামের। বিতর্কিত এলাকায় প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করেছিল দুই রাজ্যই।গত ২৬ জুলাই দুই রাজ্যের পুলিশের মধ্যে বিবাদে অসম পুলিশের ৬ জওয়ানের মৃত্যুর পর দুই রাজ্যের মধ্যে কার্যত ঠান্ডাযুদ্ধ চলছে। অসম (Assam) সরকার রাজ্যের নাগরিকদেরকে মিজোরাম সফর না করার সরাসরি পরামর্শ দিয়েছে । রাজ্যর নাগরিকরা মিজোরাম (Mizoram) ভ্রমণ করলে তাদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কায় এই পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বলে সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে। শনিবার অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত পুরো ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত চেয়েছেন।