সংবাদ প্রতিদিন অনলাইন ডেস্ক: নিজের বাসভবনেই আক্রান্ত দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্ত। 'জন শুনানি' চলাকালীন এই হামলা হয় বলেই দাবি। বছর পয়ঁতিরিশের এক ব্যক্তি এই হামলা চালান বলে অভিযোগ উঠেছে। যদিও নিরাপত্তায় থাকা কর্মীরাই হাতেনাতে তাঁকে ধরে ফেলেন। কিন্তু কেন এই হামলা, তা এখনও স্পষ্ট নয়। এমনকী ওই অভিযুক্ত ব্যক্তির কোনও রাজনৈতিক যোগ আছে কি না তাও জানা যায়নি। ইতিমধ্যে অভিযুক্তকে আটক করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে দিল্লির সিভিল লাইনস পুলিশ স্টেশনে। শুরু হয়েছে জিজ্ঞাসাবাদ। তবে এই ঘটনায় প্রশ্নের মুখে মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তা।
জানা যায়, সিভিল লাইনস এলাকায় মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্তের সরকারি আবাস। সেখানেই সাপ্তাহিক 'জন শুনানি' চলছিল। জানা যায়, ওই ব্যক্তি প্রথমে মুখ্যমন্ত্রীকে কিছু নথি দেওয়ার আবেদন জানান। আর তা দেওয়ার পরেই অতর্কিতে মুখ্যমন্ত্রীর উপর হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। সর্বভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, মুখ্যমন্ত্রীকে চড় মারা হয়। এমনকী চুল ধরেও টানা হয়েছে বলে অভিযোগ। ঘটনার পরেই হাতেনাতে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে ধরে ফেলেন নিরাপত্তায় থাকা কর্মীরা।
অন্যদিকে ঘটনার পরেই মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে একটি চিকিৎসকদের দল ছুটে যায় । তবে রেখা গুপ্তের চোট খুব একটা গুরুতর নয় বলে জানা গিয়েছে। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়েছেন দিল্লি পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। পুরো ঘটনা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। বিজেপির তরফে এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে কংগ্রেসের তরফেও এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানানো হয়েছে। রাজধানীতে মহিলাদের সুরক্ষা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে।
দিল্লি কংগ্রেস সভাপতি দেবেন্দ্র যাদব বলেন, ''এই ঘটনা খুবই নিন্দাজনক। মুখ্যমন্ত্রী গোটা দিল্লিকে নেতৃত্ব দেন।'' একই সঙ্গে মহিলা নিরাপত্তা নিয়েও কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছে। কংগ্রেস নেতার কথায়, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী যদি নিরাপদ না হন, তাহলে একজন সাধারণ মহিলা কীভাবে নিরাপদ থাকবেন?
