রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: ২২ জানুয়ারির পর থেকে ভোল পালটে গিয়েছে অযোধ্যা (Ayodhya) নগরীর। এতদিনের আশা পূরণ করে সেখানে নির্মীয়মাণ রামমন্দিরে (Ram Mandir) রামলালা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তার পর থেকেই জনসুনামি রামনগরীতে। প্রতিদিন ভিড়ের রেকর্ড ভাঙছে। ভক্তরা এখনই রামলালা দর্শনে আকুল। এই পরিস্থিতিতে মন টানলেও এখনই অযোধ্যা যাওয়া হচ্ছে না বঙ্গ বিজেপি (Bengal BJP) নেতৃত্বের। দিল্লিতে দলের সদর দপ্তর থেকে ফোন করে তাঁদের বারণ করা হয়েছে ভিড়ের কারণে। বলা হয়েছে, এখনই কোনও নেতা, কর্মীর যাওয়ার দরকার নেই।
রামমন্দির উদ্বোধনের আগে থেকেই প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Narendra Modi) দেশবাসীর কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন, এখনই যেন সেখানে ভিড় জমানো না হয়। সেক্ষেত্রে নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে পারে। তাই স্বয়ং জেপি নাড্ডাও (JP Nadda) যাননি সেখানে। বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব ফেব্রুয়ারি মাসে অযোধ্যা যাওয়ার পরিকল্পনা করে। শুধু নিজেরাই নয়, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নেতা, কর্মীরা দফায় দফায় রামমন্দির যাবেন, তেমনই ছিল পরিকল্পনা। কিন্তু গত কয়েকদিনেই অযোধ্যায় রামলালা (Ram Lala)দর্শনে উপচে পড়া ভিড়। গড়ে দু লক্ষেরও বেশি ভক্ত সমাগম হচ্ছে। নিরাপত্তাকর্মীরা রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছেন।
[আরও পডুন: আরএসএস নেতা খুনে পপুলার ফ্রন্টের ১৫ সদস্যকে মৃত্যুদণ্ড দিল কেরলের আদালত]
আগামী মাসে অর্থাৎ ফেব্রুয়ারিতে বাংলার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) অধীনে বিজেপির জনপ্রতিনিধিদের যাওয়ার কথা ছিল অযোধ্যায়। কিন্তু ভিড়ের পরিস্থিতি দেখে তাঁদের যাওয়ার ব্যাপারে একেবারে দিল্লির সদর দপ্তর থেকে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। প্রত্যেক রাজ্য নেতৃত্বকেই এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেকথা স্বীকার করে বিরোধী দলনেতা জানিয়েছেন, ফেব্রুয়ারিতে রামমন্দির যাওয়ার কথা ছিল তাঁদের। তবে প্রধানমন্ত্রী নিষেধ করেছেন। তাই সফর বাতিল করা হয়েছে। পরে দলের অনুমতি নিয়ে রামলালা দর্শনে যাবেন বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব।