সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাবরি ধ্বংস মামলায় আডবানী, মুরলী মনোহর জোশীরা (MM Joshi) নির্দোষই! তাদের মুক্তির বিরুদ্ধে এলাহাবাদ হাই কোর্টে যে মামলা হয়েছিল সেটাও খারিজ হয়ে গেল। বাবরি ধ্বংস মামলায় আডবানী (LK Advani), জোশীদের মুক্তির প্রতিবাদে এলাহাবাদ হাই কোর্টে মামলা দায়ের করেছিলেন অযোধ্যার সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের দুই ব্যক্তি। হাই কোর্টের দুই বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ সেই মামলাও খারিজ করে দিল।
সূত্রের খবর, লালকৃষ্ণ আডবানী, মুরলী মনোহর জোশী, সাধ্বী ঋতম্ভরা, উমা ভারতী-সহ মোট ৩২ জনের ‘রিট’ পিটিশন দায়ের হয়েছিল এলাহাবাদ হাই কোর্টে (Allahabad High Court)। এদের মধ্যে কল্যাণ সিংয়ের মৃত্যু হয়েছে। মামলাকারী হাজি মেহেমুব (Haji Meheboob), সৈয়দ আখলাখ আহমেদের দাবি ছিল, সবাই জানে বাবরি মসজিদ ধ্বংস হয়েছিল। তাই যে প্রমাণের ভিত্তিতে অভিযুক্তদের বেকসুর খালাস করা হয়েছে, সেটা যুক্তিহীন। এই মামলার সব সাক্ষ্যপ্রমাণ ফের খতিয়ে দেখার আবেদন জানান মামলাকারীরা। কিন্তু এলাহাবাদ হাই কোর্ট বিশেষ সিবিআই আদালতের (CBI Court) নির্দেশ বহাল রেখে এই মামলা খারিজ করে দিল। যার অর্থ, বাবরি ধ্বংসের সময় কোনওপ্রকর ষড়যন্ত্র যে হয়নি, সেটা ফের আরও একবার প্রমাণ হল।
[আরও পড়ুন: গুজরাট থেকে হিমাচল প্রদেশ, নির্বাচনের আগে কংগ্রেস ছাড়ার হিড়িক নেতা-বিধায়কদের]
উল্লেখ্য, প্রায় ২৮ বছর পর ২০২০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর বাবরি ধ্বংস মামলায় রায়দান করে লখনউের বিশেষ সিবিআই আদালত। প্রাক্তন উপপ্রধানমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা লালকৃষ্ণ আডবানী, মুরলী মনোহর যোশী, উমা ভারতী (Uma Bharati), কল্যান সিং-সহ ৩২ জন অভিযুক্তকে বেকসুর খালাস করে দিয়ে জানায়, ওই ঘটনা পূর্বপরিকল্পিত ছিল না। এই মামলার মোট অভিযুক্ত ছিলেন ৪৮ জন। তবে দীর্ঘ বিচারপ্রক্রিয়া চলাকালীন ১৭ জন অভিযুক্তের মৃত্যু হয়েছে।
[আরও পড়ুন: ফাঁকা ঘরে কিশোরীকে একে একে ধর্ষণ ৬ নাবালকের, রেকর্ড হল ভিডিও! চাঞ্চল্য অসমে]
বলে রাখা দরকার, ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর বাবরি ধ্বংস মামলায় দুটি মূল FIR দায়ের হয়। প্রথমটি ছিল লক্ষ লক্ষ করসেবকদের বিরুদ্ধে, যারা নিজের হাতে মসজিদটি ধ্বংস করেন। দ্বিতীয়টি আডবানী, যোশীদের মতো নেতাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগে। সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত সেই ষড়যন্ত্রের তত্ত্বই খারিজ করে দেয়। সেই রায়ের বিরুদ্ধে যে মামলাটি হয়েছিল সেটিও এবার খারিজ হয়ে গেল।