প্রণব সরকার, আগরতলা: ত্রিপুরা হয়ে ভারতে অনুপ্রবেশ। তারপরই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়ছে বাংলাদেশিরা। অনুপ্রবেশকারীদের তালিকায় রয়েছে রোহিঙ্গারাও। যা আগামী দিনে ভারতের জন্য বড়সড় মাথাব্যথার কারণ হতে পারে।
গত কয়েকমাস ধরে বাংলাদেশের আভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ। সেই পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে বাংলাদেশিরা গণহারে ভারতের বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সীমান্তে কাঁটাতার পেরিয়ে এদেশে প্রবেশের চেষ্টা করছে। ইতিমধ্যে ত্রিপুরার বিভিন্ন সীমান্ত থেকে দুই শতাধিক বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে ত্রিপুরা পুলিশ ও সীমান্তরক্ষী বাহিনী গ্রেপ্তার করেছে। রাজ্য পুলিশের মুখপাত্র জানিয়েছেন, সীমান্তে কাঁটাতার ডিঙিয়ে বাংলাদেশ থেকে বহু মানুষ আসছে ত্রিপুরায়। তারা আবার ট্রেনে করে চলে যাচ্ছে কলকাতার উদ্দেশে।।
সর্বশেষ সন্দেহভাজন মহিলা ও শিশু-সহ এক পরিবারের ছজনকে খোয়াই শহরের একটি হোটেল থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে খোয়াই থানার পুলিশ বাংলাদেশের রোহিঙ্গা পরিবারের ছ'জনকে বৃহস্পতিবার রাত দশটা নাগাদ খোয়াই জেলা হাসপাতাল সংলগ্ন একটি বেসরকারি হোটেল থেকে গ্রেপ্তার করে। তাদের কাছে ভারতীয় নাগরিকত্বের জাল নথি উদ্ধার হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের পর পুলিশ জানিয়েছে, ওরা বাংলাদেশ থেকে গোপন পথে প্রথমে দিল্লিতে যায়। সেখান থেকে আবার ফিরে খোয়াই শহরের আন্তর্জাতিক সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশের যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল।
উদ্বেগের বিষয় হল, এই একটি রোহিঙ্গা পরিবার শুধু নয়, সাম্প্রতিক অশান্তির সুযোগ নিয়ে আরও বহু রোহিঙ্গা গত কয়েক মাসে বাংলাদেশ থেকে এপারে এসেছে। মূলত ত্রিপুরা হয়ে ভারতে প্রবেশ করে কেউ দিল্লি, কেউ কলকাতা বা কেউ অন্য প্রান্তে ছড়িয়ে পড়ছে। যা রীতিমতো উদ্বেগের। গত কয়েক দিনে শুধু ত্রিপুরা পুলিশের হাতে মোট ৮৭ জন বাংলাদেশি ধরা পড়েছে। উদ্বেগজনক বিষয় হল এদের মধ্যে রোহিঙ্গার সংখ্যা ১০। সংখ্যালঘু হিন্দুও মাত্র ১০ জন। এর বাইরে বিএসএফের চেষ্টায় বহু অনুপ্রবেশ রুখে দেওয়া গিয়েছে। তবে চোরাপথে অনুপ্রবেশ রোখা যায়নি। যা রীতিমতো উদ্বেগের বিষয়।