সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একদিকে নীরব মোদির মতো ধনকুবেররা ব্যাংককে সর্বস্বান্ত করে চম্পট দিয়েছেন। অন্যদিকে সাধারণ ব্যবসায়ীরা প্রতিনিয়ত হেনস্তার মুখে পড়ছেন। বেশ কিছুদিন ধরেই দেশের ছোট ও মাঝারি ব্যবসায়ীরা এই অভিযোগ তুলছেন। কিন্তু সুরাহার পথ পাচ্ছেন না। এবার এ ব্যাপারে খোদ প্রধানমন্ত্রীর দ্বারস্থ হলেন এক ব্যবসায়ী।
[ আজব কাণ্ড! গোরক্ষপুরের ভোটার তালিকায় বিরাট কোহলির নাম ]
ওই ব্যবসায়ীর নাম সন্দীপ সোনি। কানপুরের বাসিন্দা তিনি। মূলত ছোট ব্যবসায়ী। দেশে জিএসটি চালু হওয়ার পর থেকেই নানা সমস্যার কথা বারবার বলেছেন ছোট ব্যবসায়ীরা। তাঁদের অভিযোগ, হাজারও নিয়মের গেরোয় ব্যবসা ক্রমে লাটে উঠেছে। এদিকে ঋণখেলাপি রুখতে ব্যাংকও বিভিন্ন নিয়ম নীতি কঠোর করেছে। ঋণ নেওয়া থেকে শুরু করে বিভিন্ন বিষয়ে হাজারও বাধানিষেধের মধ্যে পড়তে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের। সুরক্ষা হিসেবেই এই বন্দোবস্ত। কিন্তু এর জেরে আর এক অভিযোগও ক্রমাগত মাথাচাড়া দিচ্ছে। যখন নীরব মোদিরা হাজার হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়ে চম্পট দিয়েছে, তখন ব্যাংক একরকম চোখ বন্ধ করেই ছিল। অনেক পরে সে কেলেঙ্কারি ফাঁস হয়েছে। কিন্তু এখন যা নিয়মকানুন আরোপ হচ্ছে তার ফাঁসে পড়ে ওষ্ঠাগত হয়ে উঠেছে ছোট ব্যবসায়ীরা। এ কথা বিভিন্ন স্তরে বারবার বলে আসছেন ব্যবসায়ীরা। কিন্তু কোথায় অভিযোগ জানিয়ে সমস্যার সুরাহা হবে তার কিনারা করতে পারেননি, সন্দীপ তাই দ্বারস্থ হয়েছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে তিনি জানিয়েছেন, ব্যাংক কর্মীরা নানাভাবে তাঁকে হেনস্তা করছিলেন। ক্রমাগত সমস্যার মুখে পড়ছিলেন তিনি। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছায় যে, ব্যবসাই করতে পারছিলেন না সন্দীপ। সেই সব কথা প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখে জানিয়েছেন তিনি। তাঁর আশা খোদ নরেন্দ্র মোদি এর কোনও একটা সুরাহা করবেন।
প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে একবার দেখাও হয়েছিল সন্দীপের। বছর দুয়েক আগে প্রধানমন্ত্রীকে তিনি একটি বিশেষ উপহার দিয়েছিলেন। কাঠের উপর গীতার স্ত্রোত্র খোদাই করে দিয়েছিলেন। তাতে খুশি হয়েছিলেন মোদি। সেই ভরসার জায়গা থেকেই নিজের সমস্যা সমাধানে খোদ প্রধানমন্ত্রীর দ্বারস্থ হলেন তিনি।
[ সমাজবাদী পার্টির সম্পত্তি পাঁচ বছরে বাড়ল ১৯৮% ]
The post ব্যাংকের কর্মীরা হেনস্তা করছেন, খোদ প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি ব্যবসায়ীর appeared first on Sangbad Pratidin.