সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পরিবারতন্ত্র নিয়ে কংগ্রেসকে কটাক্ষ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi), জবাবে ক’দিন আগে কানহাইয়া কুমার (Kanhaiya Kumar) প্রশ্ন তোলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ-র (Amit Shah) পুত্র জয় শাহ (Jay Shah) আচমকা বিসিসিআই সচিব হলেন কী করে? এই রাজনৈতিক আকচাআকচির মধ্যেই জুনিয়র শাহ-র বিরুদ্ধে এবার জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগ উঠল। রবিবার দুবাইতে এশিয়া কাপের ভারত-পাক ম্যাচে গ্যালারিতে ছিলেন বোর্ড সচিব। ভাইরাল ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, তিনি জাতীয় পতাকা হাতে নিতে অস্বীকার করছেন, এই দৃশ্য দেখে স্তম্ভিত নেটিজেন। ঘটনায় সুর চড়িয়েছে কংগ্রেস ও তৃণমূল। টুইট করেছেন খোদ তৃণমূলের সর্বভারতীয় সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)।
এশিয়া কাপের (Asia Cup 2022) হাইভোল্টেজ ম্যাচে (Ind vs Pak) জয় ছিনিয়ে নিয়েছে ভারত। কিন্তু নেটপাড়ায় ছড়িয়ে পড়া ভিডিও নিয়ে তুমুল বিতর্ক দানা বেধেছে। দেখা গিয়েছে, গ্যালারিতে ভারতের জয় উদযাপনে হাততালি, বাহবা দিতে যখন ব্যস্ত সকলে, সেই সময় জনৈক ব্যক্তি জয় শাহের দিকে জাতীয় পতাকা এগিয়ে দিচ্ছেন। যদিও তিনি মাথা নেড়ে ও শারীরিক ভঙ্গিতে পতাকাটি হাতে নেওয়ার বিষয় না করে দেন।
[আরও পড়ুন: লিভ-ইন এবং সমকামী সঙ্গীদেরও মিলবে পরিবারের স্বীকৃতি, মত দিল সুপ্রিম কোর্ট]
জয় শাহ-র এই আচরণ একেবারেই পছন্দ করেনি নেটিজেন। এক নেটিজেনের সাফ কথা, ”এই কাজ যদি কোনও অবিজেপি নেতা করত তাহলে বিজেপি আইটি সেল তাঁকে দেশদ্রোহী বলত। ” নেটিজেন আরও বলেন, এই ঘঠনার পর “মোদি স্তাবক মিডিয়া গোটা দিন ধরে সেই বিষয়ে চর্চাও করত। কিন্তু… সৌভাগ্যবশত ও শাহেনশাহর ছেলে জয় শাহ।”
[আরও পড়ুন: দেশের দৈনিক কোভিড গ্রাফে বড়সড় পতন, একদিনে আক্রান্ত ৭৫০০’র সামান্য বেশি]
অন্যদিকে জাতীয় পতাকার অবমাননা বিতর্কে মুখ খুলেছে বিরোধী কংগ্রেস ও তৃণমূল। বিতর্কিত ভিডিও টুইট করে মহারাষ্ট্র কংগ্রেস। সেখানে প্রশ্ন তোলা হয়, “ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ছেলে কেন জাতীয় পতাকা হাতে নিতে চাইলেন না? তবে এই বিষয়ে জোরালো আওয়াজটি তুলেছে তৃণমূল। ভিডিও-সহ টুইট করেছেন দলের সর্বভারতীয় সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি লেখেন, “উড়নচণ্ডী রাজার জাতীয় পতাকার গর্ব সম্পর্কে ধারনা নেই।” জয় শাহকে ট্যাগ করে অভিষেকের কটাক্ষ, “জাতীয় পতাকা ধরতে না চাওয়া শাসকগোষ্ঠীর বৃহত্তম ভণ্ডামির উদাহরণ। ওরা নাটুকে, মূল্যবোধহীন, জুমলা নির্ভর, আদৌ দেশাত্মবোধ নেই।”